নারীরা কি মসজিদ কমিটিতে থাকতে পারে? নারী নেতৃত্ব কি হাদীস দ্বারা নিষিদ্ধ?

‘রিক্লেইমিং দ্যা মস্ক’ বইয়ের ধারাবাহিক অনুবাদ: পর্ব-২০

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীদের সাথে আমার প্রায়শ দেখাসাক্ষাৎ হয়। সবখানেই তারা জানতে চায়— তাদের ‌‘মুসলিম স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের’ বোর্ড মেম্বার বা সভাপতি পদে নারী শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা যাবে কিনা? সবখানেই এখন মুসলিম ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা সাধারণত বেশি সক্রিয়। এটাই বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা। কিন্তু অত্যন্ত বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এ ধরনের সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব পর্যায়ে ছাত্রীদের আসার অনুমোদন নেই শুধুমাত্র তারা পুরুষ নয় বলে। এক্ষেত্রে প্রায়শই মিডিওকার ‌‘আলেমদের’ কিছু উদ্ভট ফতোয়ার উপর নির্ভর করা হয়।

আবার, মসজিদভিত্তিক সংগঠনগুলোর বোর্ড মেম্বারদের সাথে যেখানেই আমার দেখা হয়, বিশেষত পাশ্চাত্যে, সেখানে কমিউনিটির লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ শুনি, কেবল নারী হওয়ার কারণেই তাদেরকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসতে দেয়া হয় না। অথচ জনপরিসরে ইসলামকে প্রতিনিধিত্ব করা, সামাজিক নেতৃত্ব এবং অনুদান সংগ্রহের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, বিশেষত পাশ্চাত্যে। যাহোক, নারীরা যে কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব করেন, নেতৃত্ব দেন, অনুদান দেন এবং অবদান রাখেন— সেই কমিউনিটির মসজিদ কমিটিতেও অনেক ক্ষেত্রে নারীদেরকে আসতে দেয়া হয় না!

এ প্রসঙ্গে সাধারণত একটি হাদীস উদ্ধৃত করা হয়, যা নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে বহু শতাব্দী ধরে মুসলিম মানসে যথেষ্ট নেতিবাচক প্রভাব ফেলে আসছে। হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আবু বাকরাহ নুফায়ী ইবনে হারিস ছাকাফী (রা)। তিনি বলেন,

‍“রাসূলের (সা) নিকট থেকে শোনা একটি কথার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাকে উষ্ট্রের যুদ্ধের সময় উপকৃত করেছেন। উটওয়ালা লোকদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্যে তাদের সাথে প্রায় যোগ দিয়ে ফেলেছিলাম, কিন্তু তখন রাসূলের (সা) নিকট থেকে শোনা একটি কথা আমার মনে পড়লো। পারস্যের সম্রাট মারা যাবার পর তারা যখন রাজকন্যাকে তাদের রানী মনোনীত করেছিলো, তখন রাসূল (সা) বললেন, ‌‘যে জাতি একজন নারীকে তাদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করে, তারা কখনো সফল হবে না।’”[1]

এই বইয়ে উদ্ধৃত এটিই সর্বশেষ হাদীস, যেটির কিছু পর্যালোচনামূলক বিশ্লেষণ দরকার।

ইতোপূর্বে উদ্ধৃত হাদীসগুলোর মতো এই হাদীসটিরও একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে, যা বর্ণনাটির অর্থ যথার্থভাবে অনুধাবন ও মূল্যায়ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্ণনাটির দুটি প্রেক্ষাপট রয়েছে:

১। বর্ণনাকারী (আবু বাকরাহ ছাকাফী (রা)) যে প্রেক্ষাপটে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
২। রাসূল (সা) যে প্রেক্ষাপটে কথাটি বলেছিলেন।

রাসূলকে (সা) দেখেছেন— এই অর্থে আবু বাকরাহ ছাকাফী (রা) একজন ‌‘সাহাবী’ ছিলেন। তিনি বিশিষ্ট সাহাবী মুগীরার (রা) বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু অভিযোগের পক্ষে অন্য তিনজন সাক্ষী হাজির করতে না পারেননি। ঘটনাটি খুবই মশহুর।[2] এ ধরনের অপবাদ আরোপের ব্যাপারে কোরআনে বলা হয়েছে,

وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا ۚ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

“এবং যারা সতী নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং চারজন সাক্ষী হাজির করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে, এবং কখনো তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না। বস্তুত এরাই ফাসেক (মিথ্যাবাদী, বিদ্রোহীপ্রবণ, অবাধ্য)।” (সূরা নূর ২৪:৪)

এ জন্যে আবু বাকরাহ (রা) যখন তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করলেন, তখন খলিফা ওমর (রা) তাকে কোরআনে বর্ণিত শাস্তি প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে তাঁর যে কোনো সাক্ষ্য অগ্রহণযোগ্য হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়।

যে প্রেক্ষাপটে আবু বাকরাহ (রা) ছাকাফী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তা তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের জানা মতে, তিনি যে সময়কালে হাদীসটি শোনার দাবি করেছেন, তারপর থেকে প্রায় ২৫ বছর পর্যন্ত তিনি অন্য কোথাও বা অন্য কারো কাছে এটি বর্ণনা করেননি। উক্ত রাবী কর্তৃক এই বর্ণনার প্রেক্ষাপট ছিলো উষ্ট্রের যুদ্ধ। ৩৬ হিজরী সালে তৃতীয় খলিফা উসমানকে (রা) হত্যার জের ধরে সাহাবীদের মাঝে এই গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো। আবু বাকরাহ ছাকাফীর (রা) ভাষ্যমতে, তিনি কোন পক্ষ নিবেন, তা নিশ্চিত ছিলেন না। অবশেষে তিনি এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে আলী ইবনে আবু তালিবের (রা) পক্ষে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নেন। ওই যুদ্ধে উম্মুল মুমিনীন আয়েশার (রা) নেতৃস্থানীয় ভূমিকা থাকার কারণে তিনি প্রতিপক্ষ মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা) এবং আয়েশার (রা) পক্ষকে ‌‘ভুল পক্ষ’ বলে উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আয়েশা (রা) তাঁর উটের উপর বসে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে ওই যুদ্ধকে উষ্ট্রের যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

আমি মনে করি, আবু বাকরাহ ছাকাফী (রা) ‌‘নির্ভরযোগ্য সাহাবী’ হোন বা না হোন, বর্ণনাটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই এটিকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য যথেষ্ট। জীবনে দেখা অসংখ্য ঘটনা থেকে আমার কাছে এটা স্পষ্ট— আলেমগণ একটা রাজনৈতিক পক্ষ নেন, বিশেষত যখন কোনো সহিংসতা বা যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে তাদের এই অবস্থান বিরোধী পক্ষ সম্পর্কে তাদের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সামগ্রিকভাবে প্রভাবিত করে।

যাহোক, আবু বাকরাহ ছাকাফী যদি নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীও হতেন, যেমনটা অনেক হাদীসবেত্তা দাবি করেন, তবুও হাদীসটি সম্পর্কে আপত্তি থেকে যায়। এই হাদীস থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সময় যে প্রেক্ষাপটে রাসূল (সা) কথাটি বলেছিলেন, সেই প্রেক্ষাপটকে সাধারণত বিবেচনা করা হয় না। উক্ত হাদীসটি বর্ণনার প্রেক্ষাপট ছিলো পারস্যের দুজন সম্রাটের উপর্যুপুরী গুপ্তহত্যার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতি। তখন সিংহাসনে বসার মতো রাজপরিবারে আর কোনো পুরুষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে পারস্য সাম্রাজ্যের পতন ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিলো। তাই সাম্রাজ্য রক্ষার চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে সম্রাটের কিশোরী কন্যাকে সিংহাসনে বসানো হয়।

এ প্রসঙ্গে আমরা স্মরণ করতে পারি, পারস্যের পূর্ববর্তী সম্রাট রাসূলের (সা) পাঠানো চিঠি ছিঁড়ে ফেলেছিলো, এবং রাসূলকে (সা) গ্রেফতার করে পারস্যে তার কাছে নিয়ে আসার জন্য দুজন ইয়েমেনীকে নির্দেশ দিয়েছিলো। ইয়েমেনী ব্যক্তি দুজন মদীনায় পৌঁছার পর রাসূল (সা) তাদেরকে বললেন, আল্লাহ তাকে জানিয়েছেন যে আজ সকালেই তাদের সম্রাট নিহত হয়েছে। তারপর রাসূল (সা) নতুন সম্রাটের কাছে আরেকটি চিঠি পাঠান এবং তাকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দেন।

এই হলো ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। যার প্রেক্ষিতে রাসূল (সা) মন্তব্য করেছিলেন যে পারস্যবাসীরা তাদের নতুন রানীর নেতৃত্বে কখনোই সফল হবে না। শাসক একজন নারী হওয়ার কারণে নয়, বরং তাদের সম্রাট ও রাজপুত্ররা একের পর এক নিহত হওয়া এবং রাসূলের (সা) দাওয়াতকে প্রত্যাখ্যান করার কারণে তারা ব্যর্থ হবে— এটিই ছিলো তাঁর কথার মর্ম।

ইসলামী শরীয়াহর উসূলের দিক থেকে দেখলে, একই বিষয়ে যদি কোরআনের আয়াত থাকে, তাহলে সেই আয়াতের প্রেক্ষাপটের আলোকে বর্ণিত হাদীসকে যাচাই করে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, কোরআনে ‌‘উদাহরণ’ হিসেবে বেশ কয়েকজন নারীর কথা বলা হয়েছে। আলোচ্য প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত সবচেয়ে সুস্পষ্ট উদাহরণ হলো সাবার রানীর নেতৃত্ব। এটি ছিলো একটি সফল নেতৃত্ব। কোরআনের সূরা নামলের ২৯-৪৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে:

قَالَتْ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ إِنِّي أُلْقِيَ إِلَيَّ كِتَابٌ كَرِيمٌ – إِنَّهُ مِن سُلَيْمَانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ – أَلَّا تَعْلُوا عَلَيَّ وَأْتُونِي مُسْلِمِينَ – قَالَتْ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ أَفْتُونِي فِي أَمْرِي مَا كُنتُ قَاطِعَةً أَمْرًا حَتَّىٰ تَشْهَدُونِ – قَالُوا نَحْنُ أُولُو قُوَّةٍ وَأُولُو بَأْسٍ شَدِيدٍ وَالْأَمْرُ إِلَيْكِ فَانظُرِي مَاذَا تَأْمُرِينَ – قَالَتْ إِنَّ الْمُلُوكَ إِذَا دَخَلُوا قَرْيَةً أَفْسَدُوهَا وَجَعَلُوا أَعِزَّةَ أَهْلِهَا أَذِلَّةً ۖ وَكَذَٰلِكَ يَفْعَلُونَ – وَإِنِّي مُرْسِلَةٌ إِلَيْهِم بِهَدِيَّةٍ فَنَاظِرَةٌ بِمَ يَرْجِعُ الْمُرْسَلُونَ – … قَالَ نَكِّرُوا لَهَا عَرْشَهَا نَنظُرْ أَتَهْتَدِي أَمْ تَكُونُ مِنَ الَّذِينَ لَا يَهْتَدُونَ – فَلَمَّا جَاءَتْ قِيلَ أَهَـٰكَذَا عَرْشُكِ ۖ قَالَتْ كَأَنَّهُ هُوَ ۚ وَأُوتِينَا الْعِلْمَ مِن قَبْلِهَا وَكُنَّا مُسْلِمِينَ – … قَالَتْ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي وَأَسْلَمْتُ مَعَ سُلَيْمَانَ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

‍“(২৯) রানী বললো, ‍‘হে পরিষদবর্গ, আমাকে এক সম্মানিত পত্র দেয়া হয়েছে। (৩০) এটি সুলায়মানের নিকট হতে পাঠানো, যাতে লিখা: ‍‘দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে। (৩১) আল্লাহ বলেছেন, আমার অবাধ্য হয়ো না, বরং মুসলিম হয়ে আমার নিকট হাজির হয়ে যাও।’’ ৩২) সে আরো বললো, ‘হে পরিষদবর্গ! আমার এ সমস্যায় তোমরা পরামর্শ দাও। তোমাদের বাদ দিয়ে তো আমি কোনো বিষয়ের ফয়সালা করি না।’ ৩৩) তারা বললো, ‘আমরা শক্তিশালী ও কঠোর যোদ্ধা; তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আপনারই, কী আদেশ করবেন তা আপনি ভেবে দেখুন।’ ৩৪) রানী বললো, ‘রাজা-বাদশারা যখন কোনো জনপদে প্রবেশ করে, তখন সেই জনপদকে তছনছ করে দেয় এবং সেখানকার মর্যাদাবান ব্যক্তিদেরকে অপদস্থ করে ছাড়ে; এরাও এরূপ করবে। ৩৫) আমি তাদের নিকট কিছু উপঢৌকন পাঠিয়ে দেখি, দূতেরা কী জবাব নিয়ে ফিরে আসে।’

(৪১) সুলায়মান বললো, ‌‘তোমরা তার সিংহাসনের আকৃতিটা একটু বদলে দাও, দেখবো সে সঠিক পথের দিশা পায়, নাকি সেও তাদের দলে শামিল হয়ে যায়, যারা পথের দিশা পায় না।’ (৪২) অতঃপর যখন বিলকিস এসে গেলো, তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‌‘তোমার সিংহাসন কি এ রকমই?’ সে বললো, ‌‘মনে হয় এটা সেটাই।’ সুলায়মান বললো, ‌‘আমরা তো আগেই অবগত হয়েছিলাম এবং আনুগত্যের শির নত করে দিয়েছিলাম।’

(৪৪) … বিলকিস অনুতপ্ত হয়ে বললো, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তো নিজের প্রতি জুলুম করছিলাম, কিন্তু এখন সুলায়মানের সাথে আমিও বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করছি।’”

কোরআনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের যেসব দৃষ্টান্ত বর্ণিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে নবী-রাসূলদের বাইরে সাবার রানী বিলকিস হলো একমাত্র উদাহরণ, যা ইতিবাচক হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। এখান থেকে আমরা রানী বিলকিসের নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি। সেগুলো হলো—

(ক) যথাযথভাবে মন্ত্রীদের সাথে পরামর্শ ও তাদের মতামতকে সম্মান করা,
(খ) রানীর প্রতি সভাসদবৃন্দের গভীর শ্রদ্ধা এবং তার নেতৃত্বে যুদ্ধ কিংবা শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতি সদিচ্ছাপোষণ,
(গ) ইতিহাস ও ভূগোল সম্পর্কে বিলকিসের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা
(ঘ) যে কোনো অবস্থায় সত্যকে গ্রহণ করার ব্যাপারে তার সততা ও চারিত্রিক দৃঢ়তা।

এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অতীত ও বর্তমানের অনেক মুসলিম পুরুষের চেয়ে সাবার তৎকালীন রানী বিলকিসের নেতৃত্ব ছিলো অনেক বেশি ইসলামসম্মত।

(চলবে)

[মূল: জাসের আওদা, অনুবাদ: জোবায়ের আল মাহমুদ]

অন্যান্য পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

রেফারেন্স:

[1] সহীহ বুখারী, ৭০৯৯; এবং ‌‘না‌রী শাসনের নিষিদ্ধতা’ শিরোনামের অধীনে সুনানে নাসায়ীতে বর্ণিত, ৮/২২৭।

[2] ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আলামুন নুবালা, বৈরুত: আর-রিসালা, ২০০১, ৩/৫।

আরো পোস্ট