“ইসলাম মানে জ্ঞান, আর জ্ঞান মানে ইসলাম”
কোর’আন একটি জ্ঞান, হাদিস একটি জ্ঞান, ফিকাহ একটি জ্ঞান, দর্শন একটি জ্ঞান, এবং বিজ্ঞান একটি জ্ঞান। এদের মাঝে স্তরবিন্যাসে পার্থক্য থাকলেও একটি জ্ঞান কখনো অন্য জ্ঞানের বিরোধী হয় না।
আদম (আ)-কে আল্লাহ তায়ালা প্রথম যে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন, তা পৃথিবীর সকল মানুষের মধ্যেই রয়েছে। যে কেউ যে নামেই জ্ঞান চর্চা করুক না কেন, তা আল্লাহর সত্য জ্ঞানের সাথে কখনো বিরোধী হওয়া সম্ভব না।
অজ্ঞতার কারণে অনেকেই মনে করেন, কোর’আনের এক আয়াতের সাথে অন্য আয়াতের বৈপরীত্য রয়েছে। কোর’আনের সাথে হাদিসের বৈপরীত্য রয়েছে। হাদিসের সাথে ফিকহের বৈপরীত্য রয়েছে। ধর্মের সাথে দর্শনের বৈপরীত্য রয়েছে। এবং দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের বৈপরীত্য রয়েছে।
নাস্তিকরা মনে করেন, কোর’আনের এক আয়াতের সাথে অন্য আয়াতের বৈপরীত্য রয়েছে। আহলুল কোর’আন মনে করেন, কোর’আনের সাথে হাদিসের বৈপরীত্য রয়েছে। আহলে হাদিস মনে করেন, হাদিসের সাথে ফিকহের বৈপরীত্য রয়েছে। কিছু কিছু ধার্মিক মনে করেন, ধর্মের সাথে দর্শনের বৈপরীত্য রয়েছে। আধুনিক বস্তুবাদী বিজ্ঞানী মনে করেন, বিজ্ঞানের সাথে ধর্ম ও দর্শনের বৈপরীত্য রয়েছে।
কিন্তু, আসলে সব জ্ঞান-ই আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত। সুতরাং সকল জ্ঞানের উৎস একই।
মনে করুন, আপনারা দুই ভাই বা দুই বোন। কেউ ইচ্ছা করলে আপনাদের মাঝে মিল খুঁজে নিতে পারে। আবার, কেউ ইচ্ছা করলে আপনাদের দুই জনের মাঝে ভিন্নতা খুঁজে নিতে পারে।
ইতিবাচক মানুষেরা সবকিছুর মাঝে একত্ববাদ খুঁজতে চেষ্টা করে। আর, নেতিবাচক মানুষেরা সবকিছুর মাঝে বৈপরীত্য খুঁজতে চেষ্টা করে।
ইবনে খালদুনের বিখ্যাত গ্রন্থ মুকাদ্দিমার ইংরেজি অনুবাদক রোজেনথাল তাঁর “The concept of knowledge in medieval Islam” বইয়ে বলেন, “ইসলাম মানে জ্ঞান, আর জ্ঞান মানে ইসলাম। এর একটি থেকে অন্যটিকে আলাদা করা সম্ভব না”
18 August 2017 at 14:26 ·