সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্যে তিনটি জিনিস থাকা চাই
বিয়ে-শাদি নিয়ে কোর’আনে অনেক আয়াত আছে। তম্মধ্যে আমার ভালো লাগা একটি আয়াত হলো –
وَمِنْ ءَايَـٰتِهِۦٓ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًۭا لِّتَسْكُنُوٓا۟ إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةًۭ وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَـٰتٍۢ لِّقَوْمٍۢ يَتَفَكَّرُونَ
“আর তাঁর একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও, এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।” [সূরা ৩০/ রূম – ২১]
এ আয়াতে বলা হচ্ছে, চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। কিন্তু সেগুলো কি?
বিবাহিত জীবনে এক জোড়া দাম্পত্যকে সাধারণত তিনটি পর্যায় অতিক্রম করতে হয়। অথবা, অন্যভাবে বললে, একটু সুখী দাম্পত্য জীবনে তিনটি জিনিস থাকতে হয়।
১। পারস্পরিক কাছে থাকার ইচ্ছা।
২। পারস্পরিক ভালোবাসা।
৩। পারস্পরিক দয়া।
ধরুন, বিয়ের প্রথম ১০ বছর উভয়ে উভয়ের কাছে থাকতে চাইলো। তারপর, যদি কখনো কাছে থাকার বিষয়টি ধীরে ধীরে হ্রাস হয়ে আসে, তাহলে পরবর্তী ১০ বছর সম্পর্কটি টিকে থাকবে ভালোবাসার কারণে। এরপর, যদি পুরুষের সম্পদ শেষ হয়ে যায়, অথবা নারীর সৌন্দর্যও হারিয়ে যায়, তখন সম্পর্কটি টিকে থাকবে পারস্পরিক দয়া ও অনুগ্রহের কারণে।
এ কারণে, এমন কাউকে বিয়ে করা উচিত, (১) যার কাছে থাকতে মন চাইবে (২) যে ভালোবাসবে সবসময়, এমনকি সম্পদ বা সৌন্দর্য হারিয়ে ফেললেও। (৩) যে দয়াকরে সেবা করবে, অসুস্থ বা প্যারালাইজড হয়ে গেলেও।