বাবা দিবস ও মা দিবস আলাদা আলাদা কেন?
বাবা দিবস ১৬ জুন, আর মা দিবস ১২ মে। দু’টি দিবস দু’দিনে হবার কারণ হলো, পশ্চিমা বিশ্বে অধিকাংশ বাবা-মায়ের বৈবাহিক সম্পর্ক টিকে থাকে না। ফলে পশ্চিমারা একদিন রেখেছেন তাদের বাবার জন্যে, আরেকদিন রেখেছেন তাদের মায়ের জন্যে। এতে অবশ্য তাদের অসুবিধার চেয়ে সুবিধাই বেশি।
কিন্তু, আমাদের সমাজে কেবল বাবা দিবস অথবা কেবল মা দিবস পালন করতে গেলে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। কারণ, আমাদের বাবা-মা পশ্চিমাদের মতো আলাদা-আলাদা থাকেন না। তাঁরা থাকেন একসাথে, সিদ্ধান্ত নেন একসাথে, এবং সন্তানের জন্যে কষ্টও করেন একসাথে। ফলে, বাবাকে বাদ দিয়ে কেবল মা দিবস পালন করা, কিংবা, মাকে বাদ দিয়ে কেবল বাবা দিবস পালন করা আমাদের জন্যে উপযোগী নয়, বরং কষ্টকর। আমরা বাবা-মাকে একে অপরের থেকে আলাদা করতে পারি না।
এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্যে সাউথ কোরিয়া একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। তাঁরা আগে মা দিবস পালন করতো ৮ মে। কিন্তু পরবর্তীতে মা দিবসের সাথে তাঁরা বাবাকেও যুক্ত করে নিয়েছে। অর্থাৎ, ৮ মে তাঁরা বাবা-মা দিবস হিসাবে পালন করে।
যদিও বাবা-মা দিবস বলেও একটা দিবস বিভিন্ন দেশে আছে, কিন্তু সেটি আমরা জানি না, এবং পালনও করি না। পশ্চিমাদের দেখাদেখি আমরা বাবা দিবস আলাদা, এবং মা দিবস আলাদা পালন করি। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্যে, আমাদের উচিত, বাবা দিবসে মাকে যুক্ত করে নেয়া, এবং মা দিবসে বাবাকে যুক্ত করে নেয়া। কারণ, আমাদের বাবা-মা দুইজন-ই ভালোবাসায় অবিভক্ত।