‘ইসলামি ব্যাংকিং’ ও ‘ইসলামি রাজনীতি ‘ বিশ্লেষণ
পাকিস্তান রাষ্ট্রটি নির্মাণের সময়কাল থেকে বিভিন্ন নামের সাথে ‘ইসলামি’ শব্দটা যুক্ত করা শুরু হয়। যেমন, ইসলামি অর্থনীতি, ইসলামি ব্যাংক, ইসলামি রাজনীতি, ইসলামি শিক্ষা, ইত্যাদি। এর আগে ‘ইসলামি’ শব্দটি এত ব্যাপকভাবে ইসলামের ইতিহাসে ব্যবহৃত হয়নি।
আমরা অনেক সময়ে মনে করি ‘ইসলামি ব্যাংক’ হলো ‘সাধারণ ব্যাংক’-এর চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা বিষয়। আসলে কিন্তু তা নয়। যদি ভিন্নই হতো, তাহলে সাধারণ ব্যাংকের একটি উইন্ডো হিসাবে ‘ইসলামি ব্যাংকিং’ থাকতো না। আদম (আ)-এর যেমন হাবিল ও কাবিল দুই সন্তান, তেমনি সাধারণ ব্যাংক হলো বাবা, তার একটি সন্তানের নাম ‘ইসলামী ব্যাংকিং’, অপর সন্তানের নাম ‘সুদি ব্যাংকিং’। হাবিল ও কাবিল একে অপরের বিরোধী হলেও দু’জন কিন্তু একই বাবা-মায়ের সন্তান, তেমনি ‘ইসলামি ব্যাংকিং’ ও ‘সুদি ব্যাংকিং’ একে অপরের বিরোধী হলেও দু’টিই কিন্তু ‘সাধারণ ব্যাংকিং’-এর সন্তান। এ কারণে একই ঘরে দুইজন দুই রুমে থাকে।
একই কথা ‘ইসলামি রাজনীতি’র ক্ষেত্রেও খাটে। সাধারণ রাজনীতির নিময় মেনেই ইসলামী রাজনীতিকে চলতে হয়। গণতন্ত্র, নির্বাচন, জাতিরাষ্ট্র – এসবের বাইরে গিয়ে ইসলামি রাজনীতি করা যায় না। তাই ‘ইসলামি রাজনীতি’ সাধারণ রাজনীতির একটি সন্তান। ‘উগ্র-সেকুলার রাজনীতি’ বা ‘ইসলামবিদ্বেষী রাজনীতি’ও ‘সাধারণ রাজনীতি’র সন্তান। কেউ সাধারণ রাজনীতি করলে সে ‘ইসলামি রাজনীতি’র বিরোধী হয়ে যায় না।
22 February 2:44pm2020