নারী দিবসের লেখা – ২২

পুরুষতন্ত্র বা নারীবাদ উভয়ের কাউকে সমর্থন করে না ইসলাম।

আপনি দেখবেন, যেসব মুসলিম দেশ খ্রিস্টান ধর্মের আশেপাশে আছে, তারা পুরুষতন্ত্রকে ভালোবাসে; এবং যেসব মুসলিম দেশ হিন্দু ধর্মের আশেপাশে আছে, তারা নারীবাদকে ভালোবাসে।

কারণ,

খ্রিস্টান ধর্মে পুরুষের পূজা করা হয়, আর হিন্দু ধর্মে নারীদের পূজা করা হয়।

পুরুষতন্ত্রের মাধ্যমে পুরুষেরা নারীদেরকে দাসীতে পরিণত করে, আর নারীবাদের মাধ্যমে নারীরা পুরুষদেরকে দাসে পরিণত করে। কিন্তু ইসলামে নারী বা পুরুষ কেউ কারো দাস নয়। আল্লাহ তায়ালার কাছে নারী ও পুরুষ সবাই সমান।

পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোর’আনে বলা হয়েছে –

أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ

“তোমরা কি স্বামীদেরকে আরাধনা কর? অথচ তোমরা সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে পরিত্যাগ কর।” [সূরা ৩৭/সাফফাত – ১২৫]

অন্যদিকে, নারীবাদীদের বিরুদ্ধে কোর’আনে বলা হয়েছে –

إِن يَدْعُونَ مِن دُونِهِ إِلَّا إِنَاثًا وَإِن يَدْعُونَ إِلَّا شَيْطَانًا مَّرِيدًا

“তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধু নারীর আরাধনা করে এবং অবাধ্য শয়তানের পূজা করে”। [সূরা ৪/নিসা – ১১৭]

আমাদের দেশের পরিবারগুলোতে তাকালে দেখবেন, কেউ কেউ নিজের স্ত্রীর সাথে এমন কঠোর ব্যবহার করেন, মনে হয়, নারী হলো তার সেবাদাসী। সারাদিন স্বামীর খেদমত করাই যেন নারীর একমাত্র কাজ।

আবার, কেউ কেউ স্বামীর সাথে এমন ব্যবহার করেন, মনে হয়, পুরুষটি হলো নারীর সেবাদাস। পুরুষটি কি খাবে, কি পরবে, মায়ের সাথে কিভাবে কথা বলবে, প্রতিবেশীর সাথে কিভাবে চলবে, সব ঐ নারীটির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

পুরুষতন্ত্র ও নারীবাদ দুটি পরস্পর বিরোধী উগ্র প্রান্তের ঠিক মাঝখানে অবস্থান করে ইসলাম। ইসলাম বলে, নারী ও পুরুষ কেউ কারো দাস নয়, কেউ কারো বিরোধীও নয়।

কোর’আন বলে – “নারী ও পুরুষ একে অপরের বন্ধু ও সহযোগী”

30 এপ্রিল, 2017, 7:30 PM

আরো পোস্ট