গর্তজীবী বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবাল

ইদানিং ফেইসবুকে প্রবেশ করলেই একটা নাম দেখি – জাফর ইকবাল। ভদ্রলোক কে? বা তিনি কি করেন, তা আমি জানতাম না। উনার কোনো বই অথবা লেখা আমি জীবনে পড়িনি। তবে, ফেইসবুকে কেউ কেউ বলেন, উনি নাকি শিশু-কিশোরদের জন্যে অনেক লেখালেখি করেছিলেন। কথাটা সত্য কি মিথ্যা আমি কখনো যাচাই করিনি।

কাউকে এমনও বলতে শুনেছি যে, জাফর ইকবাল গর্তের ভেতর থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, এবং এখনো নাকি গর্তের ভেতরেই আন্দোলন-সংগ্রামকরেন। কথাটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না, কিন্তু গত সপ্তাহে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুসের “তুমিই বাংলাদেশ” লেখাটা পড়ে বিশ্বাস করতে হলো যে, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী নিজেরা গর্তের ভিতরে থাকে, এবং শিশু-কিশোরদেরকেও গর্তে যেতে আহবান করে।

আমি জানি না, ড. ইউনুস কি আসলে জাফর ইকবালকেই ‘গর্তের মানুষ’ বলেছিলেন কিনা। কিন্তু তাঁর লেখা পড়ে আমার চোখে জাফর ইকবালের গর্তে থাকা একটি চেহারাই কেবল ভেসেছিলো। কারণ, ড. ইউনুস বলেছিলেন – “আমরা গর্তের ভেতর থাকা মানুষ, গর্তের ভেতরে থেকে উপদেশ দেয়া যায় না। …তোমরা আমাদেরকে উপদেশ দেয়ার সুযোগ দিও না। যদি একবার এ সুযোগ দাও তাহলে তোমাদেরকে টেনে-হেঁচড়ে আমাদের গর্তে না ঢোকানো পর্যন্ত আমরা আর থামবো না”।

আমি জানি না, সম্ভবত জাফর ইকবাল শিশু-কিশোরদেরকে এই বলে উপদেশ দেন যে, “তোমরা একটি গর্ত বানিয়ে সেখানে প্রবেশ করো, এবং শান্তিতে জীবন-যাপন করো”। এ কারণে ড. ইউনুস উপদেশ দিচ্ছেন, শিশু-কিশোর ও নতুন প্রজন্ম যাতে জাফর ইকবালের মত লোকদের কথা শুনে গর্ত বানানোর কাজে না লাগে। তাই তিনি বলেছেন– “তোমরা আমাদের মতো স্বেচ্ছাঅন্ধের (জাফর ইকবালের) কথায় কর্ণপাত করো না। কর্ণপাত করো না বলেই তোমরা রাস্তার দায়িত্ব নিতে পেরেছো। যারা নিজের পথ চিনে না, তারা পথ দেখাবে কি করে। আমাদের পরামর্শ নিলে তোমরাও গর্ত বানানোর কাজে লেগে যেতে”।

যাই হোক, গর্তজীবী জাফর ইকবালকে চিনার জন্যে ড. ইউনুস আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন, ধন্যবাদ তাঁকে।

10 August 2018 at 17:54 

আরো পোস্ট