“মা”

‘মা’ শব্দটিকে কোর’আনে যতবার ব্যবহার করা হয়েছে, কখনো নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু, বাবা শব্দটিকে অধিকাংশ সময় নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

যেমন,

পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা যত কিতাব পাঠিয়েছেন সবগুলোকে একে অপরের বোন বলা হয়েছে। এবং, আল্লাহ তায়ালার কাছে যে কিতাবটি সংরক্ষিত রয়েছে, তাকে বলা হয়েছে উম্মুল কিতাব বা কিতাবের ‘মা’ । [দেখুন, ৪৩: ৪, ৪৮ এবং ১৩: ৩৯]

কুর’আন নাযিল হয়েছিল যে স্থানে, তাকে বলা হয় উম্মুল কুরা বা গ্রামের ‘মা’। [দেখুন, ৬: ৯২ এবং ৪২: ৭]

ঈসা (আ) –এর জন্মের পর মরিয়ম (আ)-কে তৎকালীন মানুষেরা বলতে লাগলো, “হে হারূনের বোন, তোমার ‘মা’ তো খারাপ মানুষ ছিলেন না।” [দেখুন, ১৯: ২৮]

এভাবে কোর’আনে যত স্থানে ‘মা’ অর্থে উম্মু শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সকল স্থানে ইতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
______

কিন্তু বাবা শব্দটি অধিকাংশ সময় নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

যেমন,

إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءَهُمْ ضَالِّينَ

“তারা তাদের বাবাদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী অবস্থায়”। [সূরা ৩৭/সাফফাত – ৬৯]

قَالُوا وَجَدْنَا آبَاءَنَا لَهَا عَابِدِينَ

“তারা বলল, আমরা আমাদের বাবা-দাদাকে এদের পূজা করতে দেখেছি”। [সূরা ২১/আম্বিয়া – ৫৩]

قَالَ لَقَدْ كُنتُمْ أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ

“ইব্রাহীম বললেন, তোমরা এবং তোমাদের বাবা-দাদারা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে আছ”। [সূরা ২১/আম্বিয়া – ৫৪]
______

এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, সকল বাবারা খারাপ না। কোর’আনের কিছু কিছু স্থানে বাবা শব্দটিকে ইতিবাচক অর্থেও ব্যবহার করা হয়েছে। এবং কোর’আনের মা-বাবার এ সূত্রটি পৃথিবীর জীবনের জন্যে প্রযোজ্য।

এর কারণটা হতে পারে,

মানুষ মায়েদের থেকে ভালোবাসা গ্রহণ করে, আর বাবাদের থেকে আদর্শ গ্রহণ করে। ভালোবাসা কখনো খারাপ হয় না, কিন্তু কিছু কিছু আদর্শ খুবই খারাপ।

16 July 2017 at 18:10 

আরো পোস্ট