আরবের কেউ কেউ বলেন, “আমরা নাকি মুসলিম না”
আরবের কেউ কেউ বলেন, “আমরা নাকি মুসলিম না”।
কিন্তু দেখুন, আরবদের সম্পর্কে আল্লাহ কি বলছেন –
قَالَتِ ٱلْأَعْرَابُ ءَامَنَّا ۖ قُل لَّمْ تُؤْمِنُوا۟ وَلَـٰكِن قُولُوٓا۟ أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ ٱلْإِيمَـٰنُ فِى قُلُوبِكُمْ ۖ وَإِن تُطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ لَا يَلِتْكُم مِّنْ أَعْمَـٰلِكُمْ شَيْـًٔا ۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌ
“আরবেরা বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আপনি বলুন, তোমরা ঈমান আন নাই। তোমরা বরং বল, আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি। এখনও তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি। যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর, তবে তোমাদের কর্ম বিন্দুমাত্রও নিষ্ফল করা হবে না। নিশ্চয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান। [সূরা ৪৯/ হুজরাত – ১৪]
অর্থাৎ, আরবের লোকজন যতই নিজেদেরকে মুমিন-মুসলিম দাবী করুক না কেন, তাদের অন্তরে এখনো ঈমান প্রবেশ করেনি।
আরবদেরকে উদ্দেশ্য করে শায়খুল আকবার ইবনুল আরাবী বলেন, “দীনুকুম দিনারুকুম।”
অর্থাৎ, তোমার ধর্ম হচ্ছে তোমাদের দিনার।
আমার আরব রুমমেট আমাকে প্রায়ই বলে, “আরব কেবল নবীর দেশ না, এটি মূর্খ কাফির আবু জাহেলের দেশও বটে”।
তাঁর কথার সত্যতা পাই কোর’আনের অন্য একটি আয়াতে।
وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ لَيْسَتِ ٱلنَّصَـٰرَىٰ عَلَىٰ شَىْءٍۢ وَقَالَتِ ٱلنَّصَـٰرَىٰ لَيْسَتِ ٱلْيَهُودُ عَلَىٰ شَىْءٍۢ وَهُمْ يَتْلُونَ ٱلْكِتَـٰبَ ۗ كَذَٰلِكَ قَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ ۚ فَٱللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ فِيمَا كَانُوا۟ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
“ইহুদীরা বলে, খ্রিস্টানদের কোনো ভিত্তি নাই। এবং খ্রিস্টানরা বলে, ইহুদীদের কোনো ভিত্তি নাই। অথচ তারা সবাই কিতাব পাঠ করে! একইভাবে যারা মূর্খ, তারাও এমন কথা বলে। সুতরাং, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল”। [সূরা ২/বাকারা – ১১৩]
এ আয়াতে স্পষ্ট যে, মূর্খরা নিজেদের ব্যতীত অন্যদেরকে বলে, তোমাদের ধর্মের কোনো ভিত্তি নাই। এখন নব্য আবু জাহেলদেরকে দেখুন, তারা ইহুদী ও খ্রিস্টানদের মত ঠিক একই আচরণ করছে।
আপনি যদি আরবের নব্য আবু জাহেলদের সাথে থাকেন, তাহলে তারা আপনাকে সুন্দর একটি ধর্মীয় সার্টিফিকেট দিবে। কিন্তু আপনি যদি তাদের সাথে ভিন্ন মত পোষণ করেন, তাহলে তারা আপনাকে ধর্ম থেকে বের করে দিবে।
‘সহীহ আকিদা’ নামক যে বিদায়াতি ধর্ম দিয়ে তারা আপনাকে বিচার করে, ইসলামের সাথে তার বিন্দু পরিমাণ কোনো সম্পর্ক নেই। কোর’আন ও হাদিসের কোথাও ‘সহীহ আকীদা’র ধারণাটি আপনি খুঁজে পাবেন না।