আল্লামা জালাল উদ্দিন রূমির বাণী ও কবিতা
ইউরোপ ও অ্যামেরিকা সহ সারাবিশ্বের অমুসলিমরা যে মানুষটির লেখা সবচেয়ে বেশি পড়েন, তিনি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। তাঁর ৫ টি বই ও একটি উপদেশ বাণী রয়েছে।
১। মসনবী, (৬ খণ্ড, ২৬০০০ কবিতার লাইন)
২। দিওয়ানে কবির, (৪০০০০ কবিতার লাইন)
৩। ফিহি মা ফিহি, (বিভিন্ন সভা ও মসলিসে দেয়া বক্তব্য)
৪। মাজালিশ-ই শব, (সাতটি বড় বক্তৃতা)
৫। মাকতুবাত, (১৪৭ টি চিঠি)
আর একটি উপদেশ রয়েছে। উপদেশটি হলো –
“অল্প খাও, স্বল্প ঘুমাও, কম কথা বল। গুনাহ থেকে দূরে থাক, সবসময় কাজ কর। সুখের অনুসন্ধানী মানুষদের থেকে দূরে থাক, এসব মানুষ তোমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে। সৎ, ভালো ও সুভাষী মানুষের সাথে থাক। ভালো মানুষ তারা, যাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আর, ভালো কথা হলো তাই, যা সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহর।”
[১৭ ডিসেম্বর রূমির ‘শবে আরুস’। শবে আরুস অর্থ দ্বিতীয় জন্মের রাত বা মৃত্যুর রাত]
*****************
মৃত মাটির থেকে আমি বৃক্ষে উদ্ভাসিত,
উদ্ভিদ হয়ে মরি আমি পশুতে বিকশিত।
পশু হয়ে মরি আমি, মানুষ হয়ে প্রকাশিত,
মানুষ হয়ে মরতে কি ভয়? যদি হই উন্নীত।
– মাওলানা জাল্লালুদ্দিন রুমি।
از جمادی مردم و نامی شدم ** وز نما مردم به حیوان برزدم
مردم از حیوانی و آدم شدم ** پس چه ترسم کی ز مردن کم شدم
I died to the inorganic state and became endowed with growth, and (then) I died to (vegetable) growth and attained to the animal. I died from animality and became Adam (man): why, then, should I fear? When have I become less by dying?
*****************
একজন জ্ঞানী ব্যক্তি যা যা চিন্তা করে, সব কথা মুখে বলে দেয় না। বরং মুখে যত কথা বলে, সব কথা নিয়ে চিন্তা করে।
*****************
ভালোবাসার অপর নাম ধৈর্য
[১]
ক্ষুধা পেটে ধৈর্য ধরার নাম “রোজা”,
দুঃখে সময় ধৈর্য ধরার নাম “দৃঢ়তা”,
মানুষের আচরণে ধৈর্য ধরার নাম “সহিষ্ণুতা”,
খুব ইচ্ছা হলে ধৈর্য ধরার নাম “দোয়া”,
আবেগে ধৈর্য ধরার নাম “অশ্রুজল”,
মনে পড়লে ধৈর্য ধরার নাম “একাকীত্ব”,
এবং,
প্রিয় মানুষের জন্যে ধৈর্যের নাম “ভালোবাসা”
[২]
অন্যের জন্যে ধৈর্য ধারণ করার নাম ভালোবাসা।
নিজের জন্যে ধৈর্য ধারণ করার নাম আশা।
এবং
আল্লাহর জন্যে ধৈর্য ধারণ করার নাম বিশ্বাস।
*****************
*****************
*****************
*****************