পৃথিবীর সবাই চায় ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র, কিন্তু সমস্যা হলো…

ভারতের মুসলিমরা গরু জবাই করতে পারেন না, কারণ ভারতের ক্ষমতাশীলরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার মাধ্যমে ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

মায়ানমারের মুসলিমরা নিজের দেশে থাকার অধিকার পান না, কারণ মায়ানমারের ক্ষমতাশীলরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার মাধ্যমে মায়ানমারকে একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

ফিলিস্তিনের মুসলিমরা মসজিদুল আকসায় নামাজ পড়তে পারেন না, কারণ ইসরাইলের ক্ষমতাশীলরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে একটি ইহুদি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

চীনের মুসলিমরা নামাজ পড়তে পারেন না এবং রোজা রাখতে পারেন না, কারণ চীনের ক্ষমতাশীলরা নাস্তিকতা বা ধর্মবিদ্বেষী রাজনীতির মাধ্যমে চীনকে একটি নাস্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

আইএস বা দায়েস ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা করার মাধ্যমে একটি ইসলামী রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চায়। সৌদি আরবে শিয়া মুসলিমদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, আবার ইরানে সুন্নি মুসলিমদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই।

যে কোনো ধর্মভিত্তিক দল অন্য ধর্ম বা মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করে। এটাই ধর্মভিত্তিক বা মতাদর্শিক রাষ্ট্রের সমস্যা। অন্যদিকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হলো, সেখানে সকল ধর্ম চর্চার সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেয়া হয়। এ কারণে, ইরান বা সৌদি আরব থেকে নিউজিল্যান্ড অনেক বেশি কল্যাণ রাষ্ট্র। কারণ নিউজিল্যান্ডে অনেকবেশী ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে।

একটি কল্যাণ রাষ্ট্র কোনো একটি ধর্মভিত্তিক বা ধর্মবিদ্বেষী হয় না, বরং সকল ধর্ম প্রকাশ্যে চর্চার জন্যে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।

বাংলাদেশ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র নয়, কারণ বাংলাদেশে মুসলিমদের পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশের মুসলিমরা একটি ইফতার মাহফিল করতে পারেন না, পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাই বাংলাদেশকে এমন একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা প্রয়োজন, যাতে মুসলিমরা সহ সকল ধর্মের মানুষ নির্ভয়ে তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারেন।

আরো পোস্ট