আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দুর্নীতিপরায়ণ কেন? – ইবনে খালদুন
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কেন দুর্নীতিপরায়ণ, তা আমরা ইবনে খালদুন থেকে সহজেই বুঝতে পারি।
ইবনে খালদুনের মতে, কোনো জাতীর শাসনভার যদি কোনো স্বৈরাচারী শাসকের হাতে পড়ে, তাহলে সে জাতির সাধারণ মানুষ ক্রমান্বয়ে দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে ওঠে। এখানে সমস্যাটা সাধারণ মানুষের নয়, বরং শাসকের। শাসকের অন্যায় ও জুলুমের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের মনের ভাব যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারে না। ফলে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন প্রতারণা, ধোঁকাবাজি ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে। এবং আস্তে আস্তে তা মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাস ও চরিত্র হয়ে দাঁড়ায়।
ইবনে খালদুন বলেন –
التظاهر بغير ما في ضميره خوفا من انبساط الأيدي بالقهر عليه و علمه المكر و الخديعة لذلك و صارت له هذه عادة و خلقا
وقع لكل أمة حصلت في قبضة القهر و نال منها العسف و اعتبره في كل من يملك أمره عليه. و لا تكون الملكة الكافلة له رفيقة به. و تجد ذلك فيهم استقراء
অর্থাৎ, যেসব জাতী অন্যায় শাসন ও অবিচারের মধ্যে আবদ্ধ, তাদের প্রত্যেকের মাঝেই দুর্নীতি ও প্রতারণা লক্ষ্য করা যায়। যাদের শাসনভার বিদেশীদের হাতে, যারা নিজেরা নিজেদেরকে শাসন করতে পারে না, তাদের মধ্যেও দুর্নীতির প্রবণতা পাওয়া যায়।
ইবনে খালদুনের উপরোক্ত তত্ত্বটির সাথে মিলিয়ে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার “অ্যা ব্রোকেন ড্রিম” বইটা পড়লে আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের অনিয়মের কারণেই সাধারণ মানুষ দুর্নীতিপরায়ণ।
২৫/৯/২০১৮