সৌদি আরব কি একটি ইসলামী রাষ্ট্র?
সৌদি আরবকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ বলেন অনেকেই। অথচ, দেখুন সেখানে মুসলিম স্কলার ও আলেমদের কথা বলার কোনো স্বাধীনতা নেই। কেবল ভিন্ন মত পোষণ করার কারণে অনেক আলেমকে ফাঁসি দিচ্ছে সৌদি আরব। রমজানের পরেই উস্তাদ সালমান আওদা, উস্তাদ আওয়াদ আল কারনি, এবং উস্তাদ আলি আল ওমারিকে ফাঁসি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র- আল জাজিরা, https://www.aljazeera.net/news/politics/2019/5/21/السعودية-إعدام-دعاة-حقوق
এখন প্রশ্ন হলো, সৌদি আরব কি একটি ‘ইসলামী রাষ্ট্র’? যদি ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ না হয়, তাহলে সৌদি আরব কি ‘দারুল হরব’ বা কুফফার রাষ্ট্র? সেখানে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে?
যদি সৌদি আরব ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ হয়, তাহলে সেখানে ভিন্নমত গ্রহণ করার স্বাধীনতা কোথায়? যদি স্বাধীনতা থাকেই, তাহলে আলেমদেরকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে কেন?
আমরা মুখে বলি, ইসলামী রাষ্ট্রে ভিন্ন মতাবলম্বীদের স্বাধীনতা দেয়া হয়। কিন্তু আসলে ফাঁসি দেয়া হয়।
এ কারণে, আমাদের ‘ইসলামী রাষ্ট্রের’ প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন এমন রাষ্ট্র, যেখানে আসলেই ইসলামী মূল্যবোধ রয়েছে।
নামে ইসলামী নয়, বরং কাজে ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে ইসলামী যে রাষ্ট্র, সেটাকেই কল্যাণ রাষ্ট্র বলা হয়। এ হিসাবে সৌদি আরবের চেয়ে নিউজিল্যান্ড অনেক বেশি কল্যাণ রাষ্ট্র।