দলে সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা মনে কি বিদয়াতী ও গোমরাহ হয়ে যাওয়া?

এক সালাফী শায়েখ বলেছেন, “ইখওয়ানী আর জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কেবল তাজমিল বা সংখ্যা বাড়ানোর জন্যে।” ঐ শায়েখের মতে, জামায়াতে ইসলামী ও ইখওয়ান হলো বিদয়াতী ও গোমরাহ, কারণ, এসব দল নাকি কেবল সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

সহীহ আকিদার এই শায়েখের কথা মেনে নিলে রাসূল (স)-কেও বিদয়াতি ও গোমরাহ বলতে হবে। নাউজুবিল্লাহ।

সহীহ হাদিসে এসেছে –

عن معقل بن يسار، قال: جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: إني أصبت امرأة ذات حسب وجمال، وإنها لا تلد، أفأتزوجها، قال: «لا» ثم أتاه الثانية فنهاه، ثم أتاه الثالثة، فقال: «تزوجوا الودود الولود فإني مكاثر بكم الأمم»
[سنن أبي داود 2/ 220]

একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট এসে বললো – “একজন নারী অনেক সুন্দরী এবং বংশমর্যাদায় বড়, কিন্তু সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম। আমি কি এমন নারীকে বিবাহের করবো?” রাসুল বললেন: “না”। সে দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বার এসে অনুরূপ কথা বললো। তৃতীয়বার বার বলার পর রাসূল (স) বললেন – “তোমরা এমন নারীকে বিবাহ করো যে খুব ভালোবাসে এবং অধিক সন্তান জন্ম দেয়। কেননা আমি অন্যান্য উম্মতের কাছে তোমার সংখ্যাধিক্যের কারণে গর্ব করবো।” (সুনানে আবু দাউদ – ২০৫০)

এ ছাড়া, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামতের মূলনীতিও হলো, কাউকে গোমরাহ না বলে সংখ্যাধিক্যের দল গঠন করা। ঐ সালাফী শায়েখের সূত্র মেনে নিলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এবং স্বয়ং রাসূল (স)-কে বিদায়াতী বলতে হবে। নাউজুবিল্লাহ।

30 মার্চ, 2019, 2:20 AM

আরো পোস্ট