লিখিত দলিল বা সাক্ষী ছাড়া ঋণ দেয়া ঠিক নয়
যখন লিখা-পড়া জানা মানুষের খুবই অভাব ছিলো, কোথাও কোনো কাগজ-কলম পাওয়া যেতো না, মানুষ পশুর চামড়ার উপর লিখতো, সে সময়ে আল্লাহ তায়ালা মানুষদেরকে বললেন যে, কেউ তোমার থেকে ঋণ নিতে চাইলে তা কাগজে লিখে রাখবে এবং দুইজন সাক্ষী রাখবে। অল্প টাকা হোক বা বেশি টাকা হোক, ঋণের টাকাটা কখন ফিরত দিবে, তাও লিখে রাখবে। তুমি যদি না লিখতে পারো তাহলে বিশ্বস্ত অন্য একজনকে দিয়ে লিখিয়ে নিবে। কোনো ভাবেই যদি লিখতে না পারো তাহলে ঋণের বিনিময়ে কোনো কিছু বন্ধক রাখবে।
অর্থাৎ, অল্প হোক বা বেশি হোক, ঋণ দেয়ার সময়ে এমন একটি শক্তিশালী প্রমাণ রাখবে, যাতে ঋণটা সহজেই উদ্ধার করা যায়।
আমরা আমাদের পরিচিত, আত্মীয়-স্বজন অথবা বন্ধুবান্ধবদেরকে ঋণ দেয়ার সময়ে কোনো ধরণের প্রমাণ রাখি না। পরে যখন কেউ ঋণের টাকা দিতে দেরি করে, অথবা দিতে চায় না, তখন বন্ধুত্বের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। তখন আমরা বলতে থাকি, “মানুষকে ঋণ দেয়া উচিত না”।
আসলে কাউকে ঋণ দেয়াটা সমস্যা না, বরং সমস্যা হলো আমরা যে পদ্ধতিতে মানুষকে ঋণ দেই সেখানে। অল্প টাকা হোক বা বেশি টাকা হোক, আপন কোনো বন্ধু হোক বা আত্মীয় হোক, কাউকে সরল মনে বিশ্বাস করে লিখিত দলিল ছাড়া এবং সাক্ষী ছাড়া ঋণ দেয়া ঠিক নয়।
সুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে মানুষকে ঋণ দেয়া উচিত, কিন্তু ঋণ দেয়ার সময় অবশ্যই কোর’আনের পদ্ধতিতে দেয়া প্রয়োজন।
[কোর’আনের সূত্র: ২/২৮২]
1 March 2018 at 14:22