বুদ্ধিমান মানুষের কাজ হলো, তাঁরা সকল হুজুরের কথা শুনবে, কিন্তু যে কথাটি তার কাছে সুন্দর ও উত্তম মনে হবে, কেবল তার অনুসরণ করবে

এ হুজুর বলেন, ঐ হুজুরের কথা শুনবেন না। ঐ হুজুর বলেন, এ হুজুরের কথা শুনবেন না। এ শায়েখ বলেন, ঐ শায়েখের কথা শুনবেন না। ঐ শায়েখ বলেন, এ শায়েখের কথা শুনবেন না।

ফলে, সাধারণ মানুষ পড়ে বিপাকে। তারা তখন বলতে থাকেন, ইসলামের মধ্যে এতো বেশি মত কেন?

আসলে কোর’আন ও হাদিসের সব কথা তো লিখাই আছে, তা আমরা সবাই পড়তে পারি। কোনো হুজুর বা শায়েখ যখন কোর’আন বা হাদিসের কোনো কথা ব্যাখ্যা করেন, তখন তিনি কোর’আন ও হাদিস থেকে সরাসরি কোনো উদ্ধৃতি দেয়ার আগে ও পরে যত কথা বলেন, সবি তার নিজের কথা। আপনার ইচ্ছে হলে সে কথাগুলো মানবেন, আর ইচ্ছা না হলে মানবেন না, এতে কোনো সমস্যা নেই।

পৃথিবীতে যত মানুষ আছে, ততটা মত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ মানুষকে শারীরিকভাবে যেমন ভিন্ন ভিন্ন তৈরি করেছেন, তেমনি মানসিক ভাবেও ভিন্ন ভিন্ন তৈরি করেছেন। একজন আলেম বা শায়েখের কথা অন্য একজনের সাথে মিলবে না, এটাই স্বাভাবিক।

এ ক্ষেত্রে কোর’আনের নির্দেশনা হলো, সব হুজুর বা শায়েখের কথা শুনা। এরপর, যার কথা আপনার কাছে সুন্দর ও যুক্তিযুক্ত মনে হবে, তার কথা মেনে চলা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন –

الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ ۚ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ

“যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, এরপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন, এবং তারাই বুদ্ধিমান। [সূরা ৩৯/ জুমার – ১৮]

সুতরাং, বুদ্ধিমান মানুষের কাজ হলো, তাঁরা সকল শায়েখ বা হুজুরের কথা শুনবে, কিন্তু যে কথাটি তার কাছে সুন্দর ও উত্তম মনে হবে, কেবল তার অনুসরণ করবে। আর, যে কথাটি তার কাছে সুন্দর ও উত্তম মনে হবে না, তা অনুসরণ করবে না।

17 February 2018 at 20:19

আরো পোস্ট