মুসলিমদের বিভক্তির কারণ
আপনি যখনি আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দিতে যাবেন, তখনি এক শ্রেণীর মানুষ আপনাকে হানাফী, সালাফী, জামাতী, তাবলীগী, মাজহাবী, লা-মাজহাবী ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে থামিয়ে দিতে চেষ্টা করবে। এটা আসলে শয়তানের-ই কাজ। শয়তান মানুষের মাঝে অনৈক্য সৃষ্টিতে খুবই পারদর্শী। সে চায়, আপনি যাতে ইসলামের কথা না বলতে পারেন।
ইসলামের ইতিহাসে চোখ রাখলে দেখবেন, রাসূল (স) সাহাবীদের সবসময় ভালো ভালো উপাধি প্রদান করতেন। যেমন, সিদ্দিক, ফারুক, গনি, যুলফিকার, আসাদুল্লাহ, সাইফুল্লাহ, ইত্যাদি। তিনি এবং সাহাবীগণ কোনো মুসলিমকে খারাপ ইংগিতবহ কোনো শব্দ বা উপাধি দ্বারা কখনো সম্বোধন করেননি। রাসূল (স) এসব কাজকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
তাহলে প্রশ্ন- কিছু মুসলিম কেনো অন্য মুসলিমদের এভাবে ট্যাগ দিয়ে কথা বলেন? দাওয়াতের কাজে বাধা দেন?
এর অনেকগুলো কারণ সমাজতাত্ত্বিকরা ব্যাখ্যা করেছেন। তার মাঝে অন্যতম প্রধান কারণ- ইসলামের পশ্চিমা-দুশমনদের অনুকরণ-অনুসরণ। পশ্চিমা-দুশমনেরা মুসলিমদের সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী, সন্ত্রাসী, জেহাদি ইত্যাদি বলে গালি দিয়ে দিয়ে সেখানকার মুসলিমদের কোনো অবদান রাখার সুযোগ দেয় না।
আর এ অঞ্চলের দুশমনেরা মুসলিমদের বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে তাদেরকে অসংখ্য দলে-উপদলে বিভক্ত করে দেয়। ফলে এখানকার মুসলিমরা বিশ্ববাসীর জন্য অতীতের মত মহৎ কোনো অবদান রাখতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
January 13, 2015 at 9:05 PM ·