প্রয়োজনে ধর্মের ব্যবহার, প্রয়োজন শেষে সেকুলার
৫ আগস্ট আমাদের ধর্মের প্রয়োজন হয়েছিলো, আমরা তখন “শহীদ” হতে চেয়েছিলাম। ১ মাস না যেতেই এখন আর আমাদের ধর্মের প্রয়োজন নেই। তাই এখন “শহীদ” শব্দটি ক্রমশ “মৃত্যু” শব্দে পরিণত হচ্ছে।
“শহীদ” শব্দের মূল অর্থ হলো সাক্ষী হওয়া, অর্থাৎ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা। এটি মৃত্যুর চেয়ে অনেক বেশি কিছু। একজন শহীদ তাদের জীবন দিয়ে এমন একটি সত্যের সাক্ষ্য দেয়, যা ইতিহাসে অনন্তকাল টিকে থাকে।
প্রশ্ন হচ্ছে, “মৃত্যু” শব্দের মধ্যে কি এই সাক্ষ্য দেওয়ার ধারণা রয়েছে?
“মৃত্যু” কেবল জীবনের শেষ অধ্যায় নির্দেশ করে, তবে “শহীদ” শব্দটি এমন এক সংগ্রাম এবং সত্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা শুধুমাত্র মৃত্যুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি চিরস্থায়ী প্রমাণ ও সাক্ষ্য হয়ে থাকে।
সুতরাং, “শহীদ” শব্দের গাম্ভীর্য ও ঐতিহাসিকতা কখনোই “মৃত্যু” শব্দের মধ্যে পুরোপুরি ধারণ করা সম্ভব নয়।
সেকুলার হোন, সমস্যা নেই। তবে মনটাকে বড় করুন।
বিশ্বজুড়ে “সেকুলার” শব্দের অর্থ হলো—সব ধর্মকে সমানভাবে জায়গা দেওয়া, যেখানে প্রতিটি ধর্ম তার নিজস্ব অধিকার এবং সম্মান পায়।
কিন্তু বাংলাদেশে সেকুলারিজমের একটি ভিন্ন বাস্তবতা লক্ষ্য করা যায়। এখানে “সেকুলার” মানে সব ধর্মকে বাদ দিয়ে দেওয়া।