দাওয়াত দিতে হয় ভালোবাসা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে না
আমরা পৃথিবীতে যা কিছু করি না কেনো, তার পিছনে থাকে কারো না কারো প্রতি ভালোবাসা। যে কোনো কাজে যখন ভালোবাসা থাকে, তখন সে কাজটি আমাদের কাছে খুবই প্রিয় ও মধুর মনে হয়। কিন্তু যখন ভালোবাসা থাকে না, তখন সে একই কাজটি আমাদের কাছে খুবই কষ্টকর ও বিরক্তিকর মনে হয়।
উদাহরণ স্বরূপ, আমাদের সমাজের একজন সাইফুল সাহেবের কথা কল্পনা করুন। সাইফুল সাহেব নতুন বিয়ে করেছেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে একটি অনুরোধ করেছেন, যাতে তিনি দাঁড়ি রেখে দেন। স্ত্রীর প্রতি অনেক ভালোবাসা থাকায় সাইফুল সাহেব তাঁর কথা ফেলে দিতে পারেননি, দাঁড়ি রেখে দিয়েছেন। কিন্তু এই সাইফুল সাহেবের জীবনে কত শত মানুষ হাজার বার বলেও তাঁকে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়াতে পারেন নি। প্রতি শুক্রবার ইমাম সাহেব বলতেন, কিন্তু সে কথা সাইফুল সাহেবের কানে যেতো না। এখন প্রিয়তমা সঙ্গিনীর প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে তিনি কেবল নিয়মিত নামাজ-ই পড়েন না, দাঁড়িও রেখে দিয়েছেন।
অথবা, আমাদের সমাজের একজন সালমার কথা কল্পনা করুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে কখনো তিনি হিজাব পরতেন না। এ জন্যে তাঁকে কতজনে কতো কথা বলতো, তিনি তাদের কথার কোনো পাত্তাই দিতেন না। কিন্তু এখন জীবনসঙ্গীর অনুরোধ রক্ষার্থে এবং তাঁর প্রতি ভালোবাসা থাকায়, পূর্ণ নিকাব পরে রাস্তায় বের হন।
এই যে মানুষের বাহ্যিক আচরণের এমন পরিবর্তন, তা কেবল ভালোবাসা দিয়েই সম্ভব।
মানুষকে যারা ইসলামের দাওয়াত দেন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন, মানুষকে ভয় দেখিয়ে ইসলামের দিকে নিয়ে আসা যাবে। আসলে ভালোবাসা দিয়ে যতো বেশি ইসলামের দিকে মানুষকে নিয়ে আসা যায়, ভয় দিয়ে ততবেশি ইসলামের দিকে আসা যায় না।