আমাদেরকে কেন মাজহাব মানতে হবে?
অনেকে বলেন, ইসলামকে জানার জন্যে মাজহাব বা মেথডলজি তো রাসূল (স)-এর যুগে ছিলো না, তাহলে আমাদেরকে কেন মাজহাব সম্পর্কে জানতে হবে?
এই প্রশ্নটির উত্তর দেয়ার আগে আরেকটি প্রশ্ন করি। রাসূল (স)-এর যুগে তো কোর’আন পড়ার জন্যে তাজবীদ, মাখরাজ, আরবি ব্যাকরণ, নাহু, ছরফ কিছুই ছিলো না, তাহলে আমাদেরকে কেন এসব পড়তে হবে?
এর উত্তর হলো, রাসূল (স)-এর পরে ইসলাম যখন নানান গোত্র এবং নানান সমাজে ছড়িয়ে পড়ে, তখন নতুন মুসলিমদেরকে সহজে কোর’আন শিক্ষা দেয়ার জন্যে তাজবিদ, মাখরাজ, আরবি ব্যাকরণ, নাহু, ছরফ থেকে শুরু করে নানান জ্ঞানের উৎপত্তি হয়। এগুলো হয় মানুষকে সহজে কোর’আন পড়া শেখানোর জন্যে। একইভাবে এবং একই সময়ে কোর’আন থেকে হুকুম-আহকাম ও সামাজিক আইন সমূহ বুঝার জন্যে ফিকহের উৎপত্তি হয়।
কোর’আনকে সিস্টেমেটিক বুঝার জন্যে বিভিন্ন স্কলার বিভিন্ন মেথডলজি আবিষ্কার করেন, যাকে আমরা এখন মাজহাব হিসাবে জানি।
অর্থাৎ, আরবি ব্যাকরণ ও নাহু-ছরফ যেমন রাসূলের অনেক পরে উৎপত্তি হলেও কোর’আন বুঝার জন্যে আমাদেরকে তা শিখতে হয়, তেমনি কোর’আন থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক আইন বের করার জন্যেও আমাদেরকে বিভিন্ন ফিকহের মাজহাব ও মেথডলজি জানতে হয়।