জ্ঞান অর্জনে শিক্ষকের ভূমিকা

জ্ঞান অর্জন করাটা হলো চিকিৎসা গ্রহণ করার মতো। যদিও ফার্মেসিতে সব ঔষধ থাকে, তবু আমাদের ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। তেমনি, যদিও গুগলে সব তথ্য পাওয়া যায়, তবু আমাদের শিক্ষকের কাছে যেতে হয়।

কোনো রোগী যদি জানেন, কোনো একটা ঔষধ খেলে রোগ ভালো হয়ে যাবে, তখন রোগীকে আর ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। তেমনি কোনো শিক্ষার্থী যদি জানেন, কোনো একটা বিষয় জানলে তার অজ্ঞতা দূর হবে, তখন তাকে আর শিক্ষকের কাছে যেতে হয় না।

নিজে নিজে ঔষধ খেয়ে ছোটোখাটো রোগ ভালো করা গেলেও বড় রোগের জন্যে যেমন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়, তেমনি ছোটোখাটো জ্ঞান নিজে নিজে অর্জন করা গেলেও বড় ধরণের জ্ঞান অর্জনের জন্যে উস্তাদের পরামর্শ নিতে হয়।

ডাক্তাররা যেমন প্রতিটি রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভিন্ন ভিন্ন ঔষধের পরামর্শ দেন, তেমনি সত্যিকারের শিক্ষকরাও প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার লেভেল অনুযায়ী পড়াশুনার জন্যে ভিন্ন ভিন্ন পরামর্শ দেন।

ডাক্তারের কাজ কেবল পরামর্শ দেয়া, ঔষধ খাইয়ে দেয়া ডাক্তারের কাজ নয়। তেমনি, শিক্ষকের কাজ কেবল পরামর্শ দেয়া, পড়া খাইয়ে দেয়া শিক্ষকের কাজ নয়।

2 Apr 4:47 pm

আরো পোস্ট