যুগে যুগে যারাই ‘অপ্রকাশযোগ্য’ সত্য বলেন, তাদের-ই সমালোচনা হয়।

সত্যের জ্ঞান দুই প্রকার। কিছু জ্ঞানকে গ্রহণ করার জন্যে সাধারণ মানুষ প্রস্তুত থাকে। আবার কিছু জ্ঞানকে মানুষ ভয় পায়।

যে জ্ঞান মানুষের অতীতের ধারনাকে শক্তিশালী করে, সে জ্ঞান জানতে মানুষ খুবই আগ্রহী হয়। আর যে জ্ঞান মানুষের অতীতের ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে, সে জ্ঞানকে মানুষ খুবই ভয় পায়।

এ জন্যে কিছু জ্ঞান প্রকাশ করলে মানুষের বাহবা পাওয়া যায়, আবার কিছু জ্ঞান প্রকাশ করলে মানুষের সমালোচনা পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো জ্ঞানের সমালোচনা হওয়া মানেই সে জ্ঞান খারাপ নয়। সত্য জ্ঞানেরও সমালোচনা হয়।

আবূ হোরায়রা (রা) বলেন – “আমি রাসূল (স) থেকে ইলমের দুটি পাত্র মুখস্থ করে রেখেছিলাম। তার একটি পাত্র আমি বিতরণ করে দিয়েছি। আর অপরটি প্রকাশ করলে আমার কণ্ঠনালী কেটে দেওয়া হবে।” (সহীহ বুখারী – ১২২, ইফা)

অর্থাৎ, সত্য জ্ঞান দুই প্রকার। একটি প্রকাশযোগ্য, অন্যটি প্রকাশযোগ্য নয়। জ্ঞানীরা তাদের পরিবেশ ও সাহসের ভিত্তিতে কিছু জ্ঞান প্রকাশ করেন এবং কিছু জ্ঞান প্রকাশ করেন না।

সক্রেটিস, মনসুর হাল্লাজ বা ইমাম আহমদ সাহস করে ‘অপ্রকাশযোগ্য’ সত্যটা বলে দেয়ার কারণেই তাদের উপর নির্যাতন নেমে আসে।

যুগে যুগে যারাই ‘অপ্রকাশযোগ্য’ সত্য বলেন, তাদের-ই সমালোচনা হয়।

16 April 2:25pm 2020

আরো পোস্ট