সক্রিয় মুসলিমদের প্রকারভেদ
সক্রিয় মুসলিমরা প্রধানত তিন প্রকার। ১) ঐতিহ্যবাদি, ২) সংস্কারপন্থি, ৩) মর্ডানপন্থি
ঐতিহ্যবাদিদের (সালাফি, কওমি মাদ্রাসা, তরিকতপন্থি ও সুফি) বৈশিষ্ট্য:
ক) উনারা রাসুল (স) থেকে আজ একটি সিলসিলা বা চেইন তৈরির চেষ্টা করেন।
খ) উনাদের এক বা একাধিক অনুকরণীয় উস্তাদ, শায়েখ বা পীর থাকে।
গ) ধর্মীয় কাজ করার জন্যে অন্যের ইজাজাত, খেলাফত, প্রতিনিধিত্ব বা সনদের খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়।
ঘ) টুপি-পাঞ্জাবি-আলখাল্লাকে পরিধানকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
ঙ) আধুনিক মতবাদ ও চিন্তার বিষয়ে গুরুত্ব কম দেন।
চ) কোনো দল গঠন করেন না, কিন্তু সাধারণ মুসলিমদের প্রচুর সমর্থন ও সাহায্য পেয়ে থাকেন।
সংস্কারপন্থিদের (ইসলামপন্থি, রাজনীতিপন্থি, বিপ্লবী) বৈশিষ্ট্য:
ক) ইসলামী ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণ গ্রহণও করে না, আবার সম্পূর্ণ বাদও দেয় না।
খ) ঐতিহ্যবাদিদের মতো সাধারণ মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারে না।
গ) সমাজের একটা এলিট শ্রেণীকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। যেমন, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও জেনারেল শিক্ষিত মানুষরা এখানে বেশী থাকে।
ঘ) সাধারণ মুসলিমদের থেকে সমর্থন, টাকা-পয়সা ও ভোট দরকার হয়, তাই ঐতিহ্যবাদিদের খুব বেশী বিরোধিতা করে না।
ঙ) উনারা মনে করেন, ইসলামে সমস্যা না থাকলেও মুসলিমদের চিন্তায় প্রচুর সমস্যা আছে।
চ) আধুনিক মতবাদ ও চিন্তা-ভাবনার কিছু গ্রহণ করে, এবং কিছু বাদ দেয়।
ছ) একটা দল গঠন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু সাধারণ মুসলিমদের থেকে তেমন সাহায্য ও সমর্থন পান না।
মর্ডানপন্থিদের বৈশিষ্ট্য:
ক) হাদিস, ফিকহ ও তাসাউফ জাতীয় সব কিছুর মধ্যেই সমস্যা আছে বলে মনে করে, এবং আল্লাহর বাণী কোর’আনে ফিরে যেতে হবে বলে মনে করে।
খ) পশ্চিমা সমাজবিজ্ঞান ও দর্শনে খুবই পারদর্শী হয়ে থাকেন, এবং বিনা প্রশ্নে সেগুলো গ্রহণ করেন।
গ) ইসলামী ঐতিহ্য ও পোশাকের বিরোধিতা করেন।
ঘ) ঐতিহ্যবাদিদেরকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শী হবার পরামর্শ দেন।
ঙ) সাধারণ মুসলিমরা তাদেরকে তেমন পছন্দ করেন না, তাই তারা কখনো কোনো দল বা গোষ্ঠী তৈরি করতে পারেন না। একাকী কাজ করেন।
15 February at 11:55pm2020