মোহাম্মদ (স)-কে ভালোবাসাটা কেবল ধর্মীয় কারণে নয়, জাগতিক কারণেও প্রয়োজন

ইবনে আরাবির মতে, মানবজাতি হলো বিশ্বের প্রাণ, আর ভালো মানুষ হলো মানবজাতির প্রাণ। যতদিন ভালো মানুষ পৃথিবীতে থাকবে, ততদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না।

মাইকেল এইচ. হার্ট সহ অসংখ্য অমুসলিমের মতে, ভালো মানুষের মধ্যে সেরা মানুষ হলেন মোহাম্মদ (স)।

অর্থাৎ, বিশ্বের সবচেয়ে পরিপূর্ণ মানুষ বা ইনসানে কামেল হলেন হলেন মোহাম্মদ (স)। যতদিন পর্যন্ত মোহাম্মদ (স)-এর গুণাবলী পৃথিবীতে বিদ্যমান থাকবে, ততদিন কেয়ামত হবে না। যখন মোহাম্মদ (স)-এর গুণাবলী ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন বিশ্বও ধ্বংস হয়ে যাবে।

মোহাম্মদ (স)-কে ভালোবাসাটা কেবল ধর্মীয় কারণে নয়, জাগতিক কারণেও প্রয়োজন। ফলে, মোহাম্মদের চরিত্রের উপরে কেউ যখন খারাপ কোনো কথা বলে, তখন সেটা প্রতিহত করা প্রয়োজন।

তুরস্কের সংবিধানের ৫৮১৬ নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘আতাতুর্ক বা জাতির পিতার স্মৃতিসৌধকে কেউ উপহাস বা কটাক্ষ করলে তার ১ থেকে ৩ বছর জেল ও জরিমানা হবে। কেউ আতাতুর্কের মূর্তি, ভাস্কর্য বা কবর ভাঙলে বা নষ্ট করলে তাকে ১ থেকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হবে।’ বাংলাদেশে শেখ মুজিবের কেউ বিরোধিতা করলে তাকে খুন করে ফেলা হয়, বা গুম হয়ে যেতে হয়। এভাবে বিশ্বের সব দেশে এমন কিছু নিয়ম থাকে, কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না।

সুতরাং, বিশ্বজগতের প্রাণ মুহাম্মদ (স)-এর বিরুদ্ধে কিছু বললে, কেন তার প্রতিবাদ করা যাবে না?

22 October 2019 at 3:30pm

আরো পোস্ট