যে কোনো জনগোষ্ঠী মাত্রই সভ্যতার অধিকারী

পশ্চিমারা পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করে। ১) উন্নত ও সভ্য জাতি ২) অনুন্নত ও অসভ্য জাতি। পশ্চিমাদের মতে, অনুন্নত জাতিগুলোর কোনো সভ্যতা নেই, অনুন্নত জাতি মাত্রই অসভ্য জাতি। সুতরাং, সভ্য জাতিগুলোর দায়িত্ব হলো ‘অসভ্য’ জাতিগুলোকে নিজেদের মতো সভ্য করে তোলা; প্রয়োজনে জবর-দখল করে ফেলা। এ কারণেই পশ্চিমাদেরকে The White Man’s Burden লিখতে হয়েছিলো। এবং এ কারণেই ব্রিটিশরা প্রায় ২০০ বছর আমাদেরকে অন্যায়ভাবে জবর-দখল করে রেখেছিলো।

মুসলিমরা পৃথিবীকে সভ্য ও অসভ্য বলে দুই ভাগে ভাগ করে না। ইবনে খালদুনের মতে –

الإنسان مدني بالطبع أي لا بد له من الاجتماع الذي هو المدينة في اصطلاحهم و هو معنى العمران

মানুষ স্বভাবগতভাবেই সামাজিক ও সভ্য। অর্থাৎ, সমাজ ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। এটাকেই পরিভাষায় নাগরিকত্ব বলা হয়, যার অর্থ সভ্যতা।

তিনি আরো বলেন –

الاجتماع الانساني الذي هو عمران العالم
অর্থাৎ, প্রতিটি জনপদ ও সমাজ-ই একেকটি সভ্যতা।

ইবনে খালদুনের মতে, চারটি জিনিসের মাধ্যমে একটি জাতির সভ্যতা নিরূপণ করা হয়। ১) রাষ্ট্র বা সঙ্ঘবদ্ধতা, ২) জীবিকা উপার্জন, ৩) জ্ঞান-বিজ্ঞান, ৪) শিল্প। এ চারটি জিনিস প্রতিটি মানবগোষ্ঠীর মধ্যেই থাকে, কম হোক বা বেশি হোক।

সুতরাং, যে কোনো জনগোষ্ঠী মাত্রই সভ্যতার অধিকারী।

11 September 2018 at 09:32 

আরো পোস্ট