আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে চারভাগে ভাগ করা যায়

আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে আমরা আমাদের দেহের সাথে তুলনা করতে পারি।

আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে চারভাগে ভাগ করা যায়। ১) জৈবিক কাজ, ২) বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ, ৩) সাংস্কৃতিক কাজ এবং ৪) ধর্মীয় কাজ।

জৈবিক কাজকে আমাদের খাদ্যনালীর সাথে তুলনা করা যায়, বুদ্ধিবৃত্তিক কাজকে আমাদের মস্তিষ্কের সাথে তুলনা করা যায়, সাংস্কৃতিক কাজকে আমাদের চর্মের সাথে তুলনা করা যায়, এবং, ধর্মীয় কাজকে আমাদের হৃদয়ের সাথে তুলনা করা যায়।

খাদ্যনালী, মস্তিষ্ক, চর্ম ও হৃদয়, সবাই একে অপরের উপর নির্ভরশীল হলেও সবার কাজের ধরণ ও সময় ভিন্ন ভিন্ন।

১) খাদ্যনালীকে প্রতিদিন অবশ্যই ২/৩ বার খাবার দিতে হয়। 
২) মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তাও করা যায়, আবার, মস্তিষ্কের ওপরে একটা বস্তা রাখা যায়। শরীরের বাহ্যিক অঙ্গগুলো নড়াচড়া করার দরকার হলেই তখন কেবল মস্তিষ্কের প্রয়োজন। 
৩) চর্মের কাজ বাইরের ধুলাবালি শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেয়া। কিন্তু চর্ম নিজে প্রায়ই ময়লা হয়ে যায়, এবং নিজেকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হয়।
৪) হৃদয়ের কাজ প্রতি মিনিটে ৬০ বারের অধিক সারা শরীরে উষ্ণতা ছড়িয়ে দেয়া। হৃদয়ের কাজ তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশী।

অর্থাৎ, জৈবিক কাজগুলো আমাদেরকে অবশ্যই করতে হয়, কিন্তু প্রতিদিন খুব অল্প সময় দিতেই তার চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। বুদ্ধিবৃত্তিক কাজগুলো সবাই করতে হয় না, এটা ইচ্ছের উপর নির্ভরশীল। সাংস্কৃতিক কাজগুলোই মানুষের পরিচয় বহন করে, কিন্তু সাংস্কৃতিক কাজগুলো খুব দ্রুত দুষিত হয়ে যায়, তাই সাংস্কৃতিক কাজগুলো নিয়মিত পরিশোধন করা প্রয়োজন। ধর্মীয় কাজগুলো ধনী-গরিব সকল মানুষকে সর্ব অবস্থায় করতে হয়, এক মিনিটও ধর্মীয় চিন্তার বাইরে যাওয়া যায় না।

16 April 2018 at 11:30 

আরো পোস্ট