হিজামাহ বা ‘শিঙ্গা লাগানো’ কি রাসূল (স)-এর সুন্নত?

উত্তর – না।

ব্যাখ্যা:

রাসূল (স)-এর অনেক আগেই চীন, মিসর, ইরান ও আরবের কিছু এলাকায় চিকিৎসার জন্যে হিজামাহ বা ‘শিঙ্গা লাগানো’র রীতি চালু ছিলো। কিন্তু রাসূল (স) নিজে শিঙ্গা লাগানোর কোনো পদ্ধতি নতুন করে সাহাবীদেরকে শেখাননি, কিংবা, শিঙ্গা লাগানোর জন্যে রাসূল (স)-এর নিকট কোনো ওহী নাযিল হয়নি।

বর্তমানে কোনো ব্যক্তির অসুখ হলে যেমন ডাক্তার তাঁকে ঔষধ লিখে দেন, তেমনি আগের যুগের মানুষ অসুস্থ হলে ডাক্তার তাদের কাউকে হয়তো শিঙ্গা লাগাতে বলতেন। কিন্তু অসুখ না হলে শিঙ্গা লাগানোর কোনো প্রয়োজন ছিলো না। অর্থাৎ, শিঙ্গা লাগানোটা ধর্মীয় কোনো বিষয় ছিলো না, বরং এটি একটি ডাক্তারি পদ্ধতি ছিলো।

অধিকাংশ আলিম ও ফকিহ মনে করেন, শিঙ্গা লাগানোটা মেডিক্যালের একটি ব্যাপার, এবং এটি একটি মুস্তাহাব বিষয়। কেউ ইচ্ছে করলে ডাক্তারি কারণে শিঙ্গা লাগাবে, অথবা কেউ ইচ্ছে করলে শিঙ্গা লাগাবে না, এখানে বাধ্যবাধকতার কিছু নেই। কারণ, শিঙ্গা লাগানো সুন্নাত নয়। ইমাম আল আদায়ী, আল মাজিরী, ইবনে কায়্যিম, আল বাহুতি, ইবনে হাজার, এবং ইমাম নববী সহ অধিকাংশ ইমান মনে করেন, শিঙ্গা লাগানো সুন্নাত নয়।

যে হাদিস দ্বারা শিঙ্গা লাগানোকে সুন্নত সাব্যস্ত করা হয়, তা আসলে দুর্বল হাদিস। ইমাম মালিক, ইমাম আহমদ, ইমাম উকাইলি, এবং ইবনে হাজার এর মতে এ হাদিসগুলো দুর্বল।

রাসূল (স) এবং তাঁর সাহাবীগণ তৎকালীন সবচেয়ে ভালো মেডিক্যাল পদ্ধতিতে চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্যেই শিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। বর্তমানেও সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা যা, তাই গ্রহণ করা উচিত।

[বিস্তারিত পড়ুন – শায়েখ মুহাম্মদ নিজামী থেকে]
https://www.facebook.com/shaykhmnizami/posts/2126444537587803

17 March 2018 at 22:10 · 

আরো পোস্ট