যতদিন আমরা আমাদের চোখের “অভ্যাসের পর্দা” সরাতে পারি না, ততদিন আমরা অনেক সত্য দেখতে পারি না।

আমাদের চারপাশে আমরা যত কিছু দেখি, সেগুলোকে প্রথমত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। হয় তা মানুষের সৃষ্টি, অথবা তা মানুষের সৃষ্টি নয়। যা কিছু মানুষের সৃষ্টি নয়, তাকে আমরা বলি – প্রকৃতি। আর যা কিছু মানুষের সৃষ্টি, তাকে আমরা বলি – শিল্প। প্রকৃতির চেয়ে শিল্পের উপরে মানুষের নির্ভরশীলতা যখন বেড়ে গেলো, তখন আমরা তার নাম দিয়েছি – শিল্পবিপ্লব। যদিও এখন অনেকেই শিল্প থেকে আবার প্রকৃতির মাঝে ফিরে যেতে চাইছে।

সে যাই হোক, অন্য একটি কথা বলার জন্যে প্রকৃতি এবং শিল্পের পার্থক্যটা করলাম। যদি একটা কলম নিজে নিজে কাগজের উপরে দাঁড়িয়ে লিখতে শুরু করে, তাহলে আমরা খুব অবাক হবো। কিন্তু, একজন মানুষ নিজে নিজে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর বুকে হেঁটে বেড়াচ্ছে, অথচ আমরা এতে অবাক হচ্ছি না। এর কারণ হচ্ছে আমাদের ‘চোখের অভ্যাস’। মানুষকে পৃথিবীর বুকে হাঁটতে দেখে অভ্যস্ত আমাদের চোখ, কিন্তু কলমকে নিজে নিজে হাঁটতে দেখে অভ্যস্ত নয় আমাদের চোখ। যদিও দুটি কাজ একই, কিন্তু একটিতে আমরা অবাক হই না, অন্য কাজে আমরা অবাক হই।

একইভাবে, কলমের সৃষ্টিকর্তাকে আমরা অস্বীকার করি না, কিন্তু প্রকৃতির সৃষ্টিকর্তাকে আমরা অস্বীকার করি; অথচ দুটিই সৃষ্টি।

আমরা আমাদের চোখের “অভ্যাসের পর্দা” যতদিন সরাতে পারি না, ততদিন আমরা অনেক সত্য দেখতে পারি না।

5 March 12:51pm 2020

আরো পোস্ট