তুরস্কের ছাত্র রাজনীতি

তুরস্কে আমাদের দেশের মত ছাত্র রাজনীতি নেই, আছে যুব সংগঠন। প্রত্যেক দলের একেকটি করে যুব সংগঠন আছে। এ যুব সংগঠনটি-ই ছাত্রদের সমস্যা ও অধিকার নিয়ে কথা বলে। 


আমাদের দেশে যেমন ছাত্ররাজনীতি করার জন্যে ছাত্র হবার বাধ্যবাধতা থাকে, এ দেশে তেমন নেই। সাধারণত যারা ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলে, সবাই সদ্য বিদায়ী ছাত্র হয়ে থাকে। কারণ ছাত্র থাকাকালীন সময়ে পড়াশুনার চাপে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করার সময় তারা পায় না। আমাদের দেশে ঠিক তার উলটো। রাজনৈতিক প্রোগ্রামের কারণে পড়াশুনার দিকে মনোযোগ দিতে পারেন না ছাত্রনেতারা। এ জন্যে উমার (রা) বলেছিলেন, “তোমরা নেতৃত্ব লাভের আগেই জ্ঞান অর্জন করে নাও।” (বুখারী, পরিচ্ছেদ ৫৭, হাদীস ৭৩)


ছাত্ররাজনীতি এর মানে হলো, একজন ছাত্র শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি নেতৃত্বও দান করবে।  যখন জ্ঞান অর্জন ও নেতৃত্ব দান দুইটা পাশাপাশি চলে আসে, তখন জ্ঞান অর্জনের চেয়েও নেতৃত্ব দান করাটা অনেকের প্রিয় হয়ে উঠে। ফলে জ্ঞানের পথে বেশি সময় না দিয়ে নেতৃত্বের পথে বেশি সময় দেন।  এতে একজন নেতা জ্ঞানীদের কাছে মূর্খ হিসাবে বিবেচিত হন।

আমাদের দেশের ছাত্র রাজনীতির কিছু দুর্বলতা।

১) ছাত্রদেরকে পড়াশুনার সুযোগ করে দেয়ার চেয়ে রাজনৈতিক প্রোগ্রামের দিকে বেশি নজর দেয়া হয়। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন পড়ার টেবিল থেকে ডেকে নিয়ে যেতেন একটি ইসলামী দলের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে। আর ঢাবিতে আসার পর হলের রিডিং রুম থেকে পড়াশুনা ছেড়ে সম্পূর্ণ অনিচ্ছায় প্রায় প্রতিদিন ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে যেতে হতো। তুরস্কে এমন ছাত্ররাজনীতি নেই। 

২) আমাদের দেশে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা ছাত্রশিবিরের নেতা হবার জন্যে ছাত্রত্ব থাকার যে বাধ্যবাধকতা আছে, সেটা তুরস্কে নেই। ফলে কেউ ছাত্র হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্যে প্রক্সি দিতে হয় না।

৩) বাংলাদেশে যেসব ইসলামী দলের ছাত্র সংগঠন রয়েছে, তারা স্বাধারণত নিজেদের দলের প্রোগ্রাম ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভালো কাজ করতে পারেন না। ছাত্রদের বেতন, পরীক্ষা, সেশন জট, বিশ্ব্যবিদ্যালয় পরীক্ষার অনিয়ম, বেকারত্ব, কোটা ইত্যাদী নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কথা বলতে দেখা যায় না। নুরু বা রাশেদের মত যারা এসব নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী নয়। তুরস্কে বিষয়টা এমন হয় না। রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠন-ই ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যা ও অধিকার নিয়ে কথা বলেন। ৪) তুরস্কে ছাত্র রাজনীতির চেয়ে বেশি সক্রিয় হলো ছাত্রদের বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন। অনেকটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের মতো। এ সংগঠগুলোই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কোনো রাজনৈতিক দলের-ই কোনো কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায় না। 

বিস্তারিত দেখুন
সাদাত পার্টি যুব সংগঠনের নেতা-  Abdulkadir KARADUMAN

https://gencsaadet.org.tr/

একে পার্টি যুব সংগঠনের নেতা- Ahmet Büyükgümüş

http://genclikkollari.akparti.org.tr/

http://genclikkollari.akparti.org.tr/yonetim/genclik-kollari-baskani/

https://www.facebook.com/AKGenclikgm

জেহেপে যুব সংগঠনের নেতা – Emre Yılmaz
https://www.chpgenclikkollari.org.tr/

http://chpgenclikkollari.org.tr/Ozgecmis/hie4l1kChTg=/emre-yilmaz.aspx

আরো পোস্ট