কেয়ামতের আগে মসজিদগুলো চাকচিক্য ও জাঁকজমকপূর্ণ হবে কিন্তু সেখানে আল্লাহর জিকির থাকবে না
নিয়মিত মসজিদে সালাত আদায় করেন, কিন্তু তারাবীহ বাসায় পড়েন –এমন দু’জন মানুষকে জানি আমি। একজন বলেন, দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর, পা ব্যথা হয়ে যায়। আরেকজন বলেন, হফেজ সাহেব কি পড়েন কিছুই বুঝি না, ঘুম আসে; তাই মসজিদে তারাবীহ পড়ি না।
তারাবীহর সালাতে আপনারা কেনো দ্রুত কোর‘আন পড়েন?—একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম এক হাফেজ বন্ধুকে। তিনি বললেন, আমরা তো ধীরস্থিরেই পড়তে চাই, কিন্তু মসজিদ কমিটি বলেন দ্রুত পড়তে।
আমাদের সমাজে যারা সবচেয়ে ধনী কিংবা বড় ব্যবসায়ী, সাধারণত তাদেরকেই মসজিদ কমিটির সদস্য করা হয়। ব্যবসায়িক কারণে বা অন্য যে কোনো কারণেই হোক, মসজিদ কমিটি চায় তাড়াতাড়ি তারাবীহ শেষ করতে। আবার তারা সূরা তারাবীহ পড়তেও নারাজ। কারণ, যেসব মসজিদে কোর‘আন খতম করা হয় না, সে সব মসজিদে মুসল্লিরা টাকা-পয়সা দেয় না।
মসজিদ কমিটিকে কেনো কোটিপতি হতে হবে? কিংবা কোর‘আন খতম করার মাধ্যমে টাকা তুলতে হবে? উত্তর খুব সহজ। মসজিদের উন্নয়ন করতে হবে।
তথাকথিত ‘উন্নয়নের’ ফলে রাসূল (স.) –এর সময় তারাবীহর সালাত যেমন প্রাণবন্ত ছিল, তা আজ হারিয়ে গিয়েছে। এখন শুধু নিয়মটাই চালু আছে। যে করেই হোক, কোর‘আন খতম করতে হবে। একবার, দুইবার বা কিছু কিছু মসজিদে দেখেছি, তারাবীহর সালাতে তিনবার কোর‘আন খতম করা হয়।
এ কারণেই বোধ হয়, রাসূল (স.) ভবিষ্যৎ বানী করেছিলেন যে, কেয়ামতের আগে মসজিদগুলো চাকচিক্য ও জাঁকজমকপূর্ণ হবে কিন্তু সেখানে আল্লাহর জিকির থকবে না। লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব করবে এবং বড়-বড় মসজিদ নির্মাণ করার প্রতিযোগিতা করবে।
June 20, 2015 at 10:46 PM