সেক্যুলার দেবতা হুমায়ুন আজাদের ‘প্রবচনগুচ্ছ’ থেকে মিডিয়ার কিছু গুণাবলী

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর জেনেও মানুষ ধূমপান করেন। বাংলাদেশের মিডিয়া মিথ্যা প্রচার করে জেনেও আমরা টেলিভিশন দেখি, পত্রিকা পড়ি; নির্বাচনের দিন হুজুগে বাঙালি সেজে হুমড়ি খেয়ে পড়ি।

মিডিয়ার কিছু গুণাবলী পড়ুন তাদের সেক্যুলার দেবতা হুমায়ুন আজাদের ‘প্রবচনগুচ্ছ’ থেকে…

“বাঙলাদেশের প্রধান মূর্খদের চেনার সহজ উপায় টেলিভিশনে কোনো আলোচনা-অনুষ্ঠান দেখা। ওই মূর্খগুলির উপস্থাপকটি হচ্ছেন মূর্খশিরোমণি।”

“আধুনিক প্রচার মাধ্যমগুলো অসংখ্য শুয়োরবৎসকে মহামানরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে।”

“নিজের নিকৃষ্ট কালে চিরশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গ পাওয়ার জন্যে রয়েছে বই; আর সমকালের নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গ পাওয়ার জন্যে রয়েছে টেলিভিশন ও সংবাদপত্র”।

“টেলিভিশন, নিকৃষ্ট জিনিসের এক নম্বর পৃষ্ঠপোষক, হিরোইন প্যাথেডিনের থেকেও মারাত্মক। মাদক গোপনে নষ্ট করে কিছু মানুষকে, টেলিভিশন প্রকাশ্যে নষ্ট করে কোটি কোটি মানুষকে”।

“বাঞ্ছিতদের সাথে সময় কাটাতে চাইলে বই খুলুন, অবাঞ্ছিতদের সাথে সময় কাটাতে চাইলে টেলিভিশন খুলুন।”

“এখানে সাংবাদিকতা হচ্ছে নিউজপ্রিন্ট-বলপয়েন্ট-মিথ্যার পাঁচন।”

“টেলিভিশনে জাহাজমার্কা আলকাতরার বিজ্ঞাপনটি আকর্ষণীয়, তাৎপর্যপূর্ণ; তবে অসম্পূর্ণ। বিজ্ঞাপনটিতে জালে, জাহাজে, টিনের চালে আলকাতরা লাগানোর উপকারিতার কথা বলা হয়; কিন্তু বলা উচিত ছিলো যে জাহাজমার্কা আলকাতরা লাগানোর উৎকৃষ্টতম স্থান হচ্ছে টেলিভিশনের পর্দা।”

April 27, 2015 at 10:40 PM

আরো পোস্ট