নারীদের সামাজিক ক্ষমতায়ন
নারীদের সামাজিক ক্ষমতায়ন সম্পর্কে এরদোয়ান বলেন,
ইসলামি বিশ্বের ও মুসলিম উম্মাহর অর্ধেক হলো নারী। “জান্নাত মায়েদের পায়ের নীচে”- এ কথার মাধ্যমে আমাদের রাসূল সা যে নারীদের সম্মানিত করেছেন, সে নারীদেরকে যথাযথ স্থানে পৌঁছাতে না দিয়ে মুসলিম উম্মাহ একটি সফল পরীক্ষা দিতে (বা সংগ্রাম করতে) পারেনি কখনো, এবং এখনো পারছে না। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করার অনুমতি না দিয়ে মানুষকে সকল প্রকার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার ধর্ম হলো ইসলাম। আমাদের ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো হলো – ১) তাওহীদ, ২) আখলাক বা নৈতিকতা, ৩) স্বাধীনতা, এবং ৪) আলাদত বা ন্যায়বিচার। এ চারটা বিষয়ের উপরে আমাদের জোর দেয়া প্রয়োজন। ১৪ শত বছরের ইসলামী সভ্যতার দিকে যদি আমরা তাকাই, দেখবো যে, চারুকলা থেকে শুরু করে স্থাপত্য শিল্প, রাজনীতি থেকে শুরু করে মানবিক বিষয়গুলো পর্যন্ত, সবকিছুতেই উপরের চারটি বিষয় ছিলো। শত শত বছর ইসলামী বিশ্ব জ্ঞান, ইরফান বা তাসাউফ, হিকমাত বা প্রজ্ঞা এবং আদালত বা ন্যায়বিচারকে কেন্দ্র করে পথ চলেছিলো। যখন থেকে এ বিষয়গুলো থেকে আমাদের নজর অন্যদিকে চলে গেলো, তখন থেকে আমরা পিছিয়ে যাওয়া শুরু করেছি। আজো আমরা লক্ষ্যচ্যুতভাবেই জীবন-যাপন করছি, এবং দুঃখজনকভাবে এর খারাপ প্রতিদান এখন পেতে হচ্ছে আমাদের। বিশেষ করে নারীদের সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আমাদের পিছিয়ে যাওয়াকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিছু কিছু ইসলামি দেশে নারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং মানবিক ভূমিকাগুলো ইসলাম ধর্মের মূলনীতি দ্বারা নয়, বরং সামাজিক গোঁড়া অভ্যাস বা প্রথাগুলোর দ্বারা নির্ধারিত হচ্ছে।
দেখুন – মিনিট ২৫, https://youtu.be/R620udscolA
https://www.tccb.gov.tr/haberler/410/87292/kadinlarin-emegi-ve-katkisi-olmayan-her-is-bize-gore-eksiktir