‘মডারেট’ মুসলিম মানে কী?
ফেইসবুকে আমরা প্রায়ই দেখি, একে অপরকে ‘মডারেট মুসলিম’ বলছেন। ‘মডারেট মুসলিম’ শব্দটি বর্তমানে এত বেশি ব্যবহার হচ্ছে যে, তাতে কেউ কেউ অসহ্য হয়ে বলছেন, ‘ঠিক আছে, আমি মডারেট মুসলিম, তাতে তোমার কী?’
সাধারণত, একজন আলেম বা স্কলার যখন ব্যাপকহারে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পান ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেন, তখন কেউ কেউ বলেন, ‘আরেহ! উনি তো মডারেট স্কলার।’ তখন ঐ জনপ্রিয় স্কলারের ভক্তগণ জবাবে বলেন, ‘মডারেট হলে সমস্যা কি? ইসলাম তো একটি মধ্যপন্থী বা মডারেট ধর্ম।’
জাসের আওদার ‘Reclaiming the Mosque’ বইটি অনুবাদ করার পরে ফেইসবুকে লোকজন বলতে শুরু করলেন, জাসের আওদা একজন ‘মডারেট স্কলার’। কারণ তিনি নারীদেরকে মসজিদে যাবার স্বাধীনতা নিয়ে বই লিখেছেন। যেহেতু আমি বইটা অনুবাদ করেছি, সে হিসাবে আমাকেও মডারেট মুসলিম বলেছেন কেউ কেউ। জাসের আওদার সেই বইটার অনুবাদ পড়তে চাইলে এখানে দেখতে পারেন : https://cscsbd.com/reclaiming-the-mosque
কয়েকদিন আগে উস্তাদ আকরাম নাদভীর একটি লেকচার ফেইসবুকে অনুবাদ হয়েছে। সেখানে তিনি নারীদের মুখ খোলা রাখার বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে দেখান যে, নারীদের মুখ ঢেকে রাখার সংস্কৃতিটি আরবের নির্দিষ্ট সংস্কৃতি, এটা ইসলামের সংস্কৃতি নয়। চার মাজহাবের কোনো ইমাম-ই নারীদের মুখ ঢেকে রাখাটা বাধ্যতামূলক বলেননি। বিস্তারিত দেখুন: https://youtu.be/wa4hxNk6Fa8
এ বক্তব্যটি বাংলাভাষায় আসার পরে অনেকেই আকরাম নাদভীকে ‘মডারেট স্কলার’ বলা শুরু করেছেন। কিন্তু আকরাম নাদভীর কথা সাধারণ মুসলিমের পছন্দ হওয়ায় তারা বলছেন, ‘কোরআন-হাদীস-যুক্তি ও রেফারেন্স দিয়ে কথা বলা পরেও ‘গোঁড়ামির’ কারণে কেউ যদি আকরাম নাদভীকে মডারেট স্কলার বলে থাকে, তাহলে আমরাও ‘মডারেট মুসলিম’।
এ থেকে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি যে, ‘মডারেট মুসলিম’ শব্দটা আগে গালি হিসেবে ব্যবহার হলেও এখন আর এটি গালির শব্দ হিসেবে নেই। এখন অনেক মুসলিম নিজেকে মডারেট মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিতেই বেশি পছন্দ করেন।
যারা নিজেদেরকে মডারেট মুসলিম বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন, তাদের যুক্তি হলো, Moderate শব্দের আরবি হলো মু’তাদিল (معتدل) বা মুতাওসসিত (متوسط)। এ শব্দটির অর্থ হলো মধ্যপন্থী। যেমন, বিতর্ক অনুষ্ঠানে যিনি পক্ষ বা বিপক্ষের বাইরে থাকেন, তাঁকে আমরা বলি মডারেটর বা মধ্যপন্থী।
কোরআনে বলা হয়েছে,
وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُواْ شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ
“আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী জাতি করেছি যাতে করে তোমরা মানবজাতির জন্যে সাক্ষ্যদাতা হও।” [ সুরা বাকারা ২:১৪৩ ]
এ আয়াতকে রেফারেন্স হিসাবে গ্রহণ করে এখন অনেকেই বলছেন, আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদেরকে মডারেট জাতি হিসাবে তৈরি করেছেন। তাই প্রতিটি মুসলিমের উচিত মডারেট হওয়া।
আসলে ‘মডারেট’ বা ‘মধ্যপন্থী’ শব্দটির মধ্যে সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে এর দ্বারা আমরা আসলে কি বুঝাই? পশ্চিমারা ‘মডারেট’ বা ‘মধ্যপন্থী’ শব্দটি ব্যবহার করে মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করার জন্যে। তারা ‘মডারেট মুসলিম’ ও ‘সন্ত্রাসী মুসলিম’ বলে মুসলিমদেরকে দুইভাগে ভাগ করেন, এবং এক পক্ষের সাথে অন্য পক্ষের যুদ্ধ লাগিয়ে দেন। অন্যদিকে, কোরআনে সমগ্র মুসলিম জাতিকেই ‘মধ্যপন্থী’ বলা হয়েছে। কোরআনে ‘মধ্যপন্থী বা মডারেট’ এবং ‘উগ্রপন্থী বা সন্ত্রাসী’ বলে মুসলিমদেরকে দুইভাগে ভাগ করা হয়নি। এটাই হচ্ছে পশ্চিমাদের ‘মধ্যপন্থী’ এবং কোরআনের ‘মধ্যপন্থী’র মধ্যে পার্থক্য। পশ্চিমারা ‘মধ্যপন্থী’ শব্দটি ব্যবহার করে মুসলিমদের মাঝে ভাগ করতে চায়, আর কোরআনে ‘মধ্যপন্থী’ শব্দটি বলে মুসলিম জাতিকে একত্রিত করতে চায়।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা যখন অন্য মুসলিমকে ‘মডারেট’ মুসলিম বলে গালি দেই, তখন আমরা কিন্তু আসলে পশ্চিমা সংজ্ঞা মেনে নিয়েই আমাদের অপর ভাইকে গালি দেই। আবার এর বিপরীতে যারা নিজেদেরকে ‘মডারেট মুসলিম’ বলতে পছন্দ করেন, তারাও পশ্চিমা সংজ্ঞা মেনে নেন, এবং অপর মুসলিম থেকে নিজেকে আলাদা করার জন্যে নিজেকে ‘মডারেট মুসলিম’ বলেন। অর্থাৎ, মডারেট মুসলিমের পক্ষে বা বিপক্ষে যারাই কথা বলছেন, উভয়েই পশ্চিমা খেলার মাঠে পশ্চিমা নিয়ম-কানুন মেনে নিয়েই পক্ষে-বিপক্ষে খেলছেন।
এ জন্যে, একজন মানুষকে আপাত দৃষ্টিতে পশ্চিমা পোশাক-আকীদা-বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মনে হলেও বাস্তবে তিনি ‘মডারেট ইসলামের’ পক্ষে। আবার অন্য একজন মানুষকে আপাত দৃষ্টিতে পশ্চিমা পোশাক-আকীদা-বিশ্বাসের পক্ষে মনে হলেও বাস্তবে তিনি ‘মডারেট ইসলামের’ বিপক্ষে।
বুঝার সুবিধার্থে আমরা বর্তমান মুসলিম বিশ্বের দুইজন নেতার উদাহরণ দিতে পারি। একজন সৌদি আরবের প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান, অন্যজন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
দাঁড়ি-টুপি ও পোষাকে মনে হতে পারে প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান ‘মডারেট’ নন, কিন্তু তিনি চিন্তা-ভাবনায় খুবই ‘মডারেট’। কিছু দিন আগে তিনি বলেছিলেন, “আজকে আমরা যে সৌদি আরবকে দেখছি’ তা ১৯৭৯-এর আগে এমন ছিলো না। আমরা সৌদি আরবকে তার আগের অবস্থায় অর্থাৎ মডারেট ইসলামের দিকে নিয়ে যাচ্ছি, যাতে সৌদি আরব অন্য ধর্মগুলোর প্রতি উদার হতে পারে। আমরা উগ্র-চিন্তাগুলোকে হ্রাস করে দিবো।”
বক্তব্যটি প্রিন্স সালমানের নিজের ভাষায় শুনুন https://youtu.be/D5Q9vyWOQsQ
অথবা ইংরেজিতে পড়ুন https://www.theguardian.com/world/2017/oct/24/i-will-return-saudi-arabia-moderate-islam-crown-prince
এবার আসুন এরদোয়ানের প্রসঙ্গে। এরদোয়ানের কার্যক্রম দেখে ও তার পোশাক দেখে যে কেউ বলবেন, এরদোয়ান একজন মডারেট মুসলিম। কিন্তু আসলে বিষয়টা উল্টা। এরদোয়ান প্রিন্স সালমানের ‘মডারেট ইসলামের’ খুবই বিরোধী। সালমানের বিরোধিতা করে তিনি বলেন,
“সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে একটি বিষয় বের হয়েছে। কি সেটি? “মডারেট ইসলাম” বা “উদারপন্থী ইসলাম”। এই “মডারেট ইসলাম” পরিভাষাটি কাদের সাথে সম্পর্কিত? – এটি পাশ্চাত্যের দেওয়া একটি পরিভাষা। এখন যে ব্যক্তি এই পরিভাষাটি ব্যবহার করছেন, তিনি হয়তো ভাবছেন, এটি তার নিজের পরিভাষা। কিন্তু, না, এটি তোমার নিজের পরিভাষা নয়। ১৫ বছর আগে আমি যখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ভ্রমণ করতে শুরু করি, তখন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট আমাকে একটি বক্তব্য দিতে বলে। বক্তব্য শেষে প্রশ্ন করা শুরু হলো। প্রথমেই প্রশ্ন করলো, “মডারেট ইসলাম সম্পর্কে আপনার চিন্তা কী?” আমাকে ১৫ বছর আগে এই প্রশ্ন করেছিলো। তখন আমি তাদেরকে বলেছিলাম’ “ইসলামে মডারেট বা উগ্র, উদারপন্থী বা অনুদারপন্থী, এসব নেই। ইসলাম একটাই। কেউ ইসলামকে বিভক্ত করার চেষ্টা করলে, অথবা ইসলামকে মূল্যায়ন করার নামে ইসলামকে দুর্বল করার চেষ্টা করলে, সেটা আমরা গ্রহণ করবো না। একটা লম্বা সময় ধরে আমি এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতাম। কিন্তু এরপর এসব বন্ধ হয়েছে, এখন আর কেউ আমাকে এসব প্রশ্ন করে না। এখন আবার কী হলো যে, এসব আবার শুরু হলো? আসল ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের ইসলামকে দুর্বল করা, আমাদের ধর্মকে দুর্বল করা। আমাদের ধর্মে মডারেট বা উগ্র বলে কিছু নেই। ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা তার সকল প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে একত্রিত করে। আল্লাহর কিতাবে ইসলামের যে সংজ্ঞা রয়েছে, ইসলাম সেটাই। এর বাইরে কেউ ইসলামের কোনো সংজ্ঞা দিতে পারে না।”
দেখুন https://www.tccb.gov.tr/haberler/410/87292/kadinlarin-emegi-ve-katkisi-olmayan-her-is-bize-gore-eksiktir
অথবা, বাংলা সাবটাইটেল সহ এরদোয়ানের মুখে শুনুন https://youtu.be/a-whFCg33Ho
উপরের দুটি উদাহরণ থেকে আমরা বুঝেছি, যাদেরকে আমরা মডারেট বলি, তারা আসলে মডারেট নয়। আবার যাদেরকে আমরা মডারেট বলি না, তারা আসলে অনেক মডারেট। মডারেট বা মধ্যপন্থী শব্দটি অনেক বেশি আপেক্ষিক।
যেমন ধরুন, বাংলাদেশের জিহাদী ঘরনার লোকেরা কওমীদেরকে মডারেট বলেন। কওমী ঘরনার লোকেরা জামায়াতে ইসলামীদের মডারেট বলেন। জামায়াতে ইসলামী আবার এবি পার্টিকে মডারেট বলেন।
মডারেট শব্দটিকে যখন আবার ইতিবাচক অর্থে বা মধ্যপন্থী অর্থে গ্রহণ করেন, তখন সবাই নিজেকে মধ্যপন্থী মনে করেন। সবাই নিজেকে মধ্যপন্থী মনে করে ডান পাশের লোকদের বলেন – ‘ওরা খুব কট্টর’, আর বাম পাশের লোকদের বলেন – ‘ওরা খুব লিবারেল বা উদার’। সবাই নিজেকে মধ্যপন্থী প্রমাণ করার জন্যে তার ডান পাশে একটি গ্রুপকে ভ্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত করেন, এবং বাম পাশের একটি গ্রুপকে ভ্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত করেন, এবং নিজেকে এই দুইটার মধ্যে আছে বলে মধ্যপন্থী বা সঠিক ব্যক্তি হিসাবে চিহ্নিত করেন।
যেমন ধরুন, সালাফিরা তাদের থেকে উদার হানাফিদেরকে বলেন মুরজিয়া, আর তাদের থেকে কট্টর ইখওয়ান বা আল কায়েদাকে বলে খারেজি। আল কায়েদা তাদের থেকে উদার সালাফি যেমন নাসির উদ্দিন আলবানীকে বলে মুরজিয়া, আর আল কায়েদার থেকে কট্টর আইএসকে বলে খারেজি। এরপর, আইএস তাদের থেকে উদার আল কায়েদাকে বলে মুরজিয়া, এবং তাদের থেকে কট্টর হাজেমিয়াদেরকে বলে খারেজি। প্রত্যেকেই নিজেকে মধ্যপন্থী ও সঠিক আকিদার ঠিকাদার মনে করে; তার থেকে বেশী উদারকে দালাল-মুরজিয়া-লিবারেল মনে করে; এবং তার থেকে কট্টরকে সন্ত্রাসী-জঙ্গি-খারেজি মনে করে।
এবার আসি মূল আলোচনায়। সবাই তো নিজেকে মধ্যপন্থী বা সঠিক বলেন। আবার সবাই তো অন্যকে মডারেট, লিবারেল, প্রান্তিক, উগ্র ইত্যাদি বলেন। তাহলে আমরা কীভাবে একে অপরকে ট্যাগ দেয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি?
এর উত্তর হলো, মুসলিমরা একে অপরকে যত ট্যাগ দেয়, সবগুলোই আপেক্ষিক। আপনি অন্য একজন উদার মানুষকে যদি মডারেট বলেন, তাহলে দেখবেন অন্য একজন আবার আপনাকে মডারেট বলছে। অর্থাৎ, মডারেট মুসলিমের কোনো একক সংজ্ঞা নেই। আবার মধ্যপন্থী হবারও কোনো একই নিয়ম নেই।
উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন। সাব্বির, নাহিদ, টিপু, তারেক, জহির, সোহাগ, মাহমুদ – সবাই নিজ নিজ হিসাবে মধ্যপন্থী। সাব্বিরের জানাশোনা-পরিচয় যতটুকু রয়েছে, সে হিসাবে সে মধ্যপন্থী হয়ে তার জায়গা নির্দিষ্ট করেছে। কিন্তু সাব্বিরের মধ্যপন্থাটা যেখানে সেটা নাহিদের একপ্রান্ত। নাহিদ মনে করছে সাব্বির প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে, কিন্তু সাব্বির মনে করছে সে মধ্যপন্থী। এদিকে সাব্বিরও মনে করছে যে, নাহিদ প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে। আসলে এ ক্ষেত্রে এদের দুইজনের এরিয়া ভিন্ন ভিন্ন।
নাহিদ সাব্বিরকে প্রান্তিক মনে করলেও খারেজি মনে করছে না, কিন্তু টিপুকে মনে করছে সে খারেজি। এদিকে টিপু মাহমুদ ও সাব্বিরকে প্রান্তিক মনে করলেও নাহিদ, তারেক, জহিরকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত মনে করছে। একইভাবে একে অপরকে নিজ নিজ অবস্থানের বিচারে প্রান্তিক বা ভ্রান্ত মনে করছে। অথচ সবাই নিজেকে মধ্যপন্থী-ই দাবী করছে।
এখানে মূল বিষয়টা হচ্ছে, কে কোন অবস্থান থেকে অন্যকে বিচার করছে।
প্রকৃতপক্ষে মধ্যপন্থী তাঁরাই যারা তাদের দুই প্রান্তের মানুষকে ভ্রান্ত না বলে একত্রিত করার চেষ্টা করে, দুই প্রান্তের সাথে সেতু নির্মাণের কাজ করে। মডারেট তাঁরাই যারা নিজের ডনে-বামের দুই প্রান্তের মানুষকে ভ্রান্ত বলে নিজেকে মধ্যপন্থী বা সঠিক প্রমাণের চেষ্টা করে।
মোদ্দা কথা হলো, আমরা যখন অপর মুসলিম ভাইকে কোনো ট্যাগ দেই, তখন আমাদের মনকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, এর দ্বারা আমি কি ঐ ভাইকে ভ্রান্ত বলার চেষ্টা করছি? যদি ভ্রান্ত বলার চেষ্টা করা হয়, তার মানে আমরা পশ্চিমা মাঠে পশ্চিমা নিয়ম মেনে নিয়ে মুসলিম ভাইয়ের বিরুদ্ধে খেলছি, আমরা মুসলিম উম্মাহকে দুর্বল করার চেষ্টা করছি। আর যদি অপর মুসলিম ভাইকে বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে ও দুই প্রান্তের মধ্যে সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে অপর মুসলিম ভাইকে একটি নামে চিহ্নিত করা হয়, তখন বুঝতে হবে, আমরা আসলে মধ্যপন্থা ব মডারেটরের কাজ করছি। আর এটাই হলো ইসলামের উদ্দেশ্য।