ইবনে তাইময়াকে কাফির ঘোষণা
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াকে অনেকেই পথভ্রষ্ট বলেছেন। এ নিয়ে দুই খণ্ডের একটি বইও রয়েছে। নাম – বারায়াতুল আশয়ারি মিন আকাইদুল মুখালিফিন।
উপরোক্ত বইয়ের লেখক বলেন, বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারী ইবনে হাজার আসকালানী তাঁর (الدرر الكامنة) আদ-দুরারুল কামিনা গ্রন্থে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া সম্পর্কে বলেন –
“উমর (রা)-এর তিন তালাকের মাসয়ালাকে এবং আলী (রা)-এর ১৭টি মাসয়ালাকে কোর’আনের বিরুদ্ধে বলেছেন ইবনে তাইমিয়া। ইবনে তাইমিয়ার মতে, আবু বকর (রা) এমন বয়সে ঈমান আনলেন যে তিনি কি বলতেন, নিজেও বুঝতেন না। আলী (রা) এমন ছোট বয়সে ঈমান এনেছেন, তাঁর বয়সী বাচ্চাদের ঈমান আনাকে ঈমান ধরা হয় না। ইবনে তাইমিয়ার মতে, আলী (রা) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আবু জাহেলের মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। এ কারণে আলিমগণ ইবনে তাইমিয়াকে মুনাফিক বলেছিলেন। ইবনে তাইমিয়া হজরত উসমান (রা)-কে সম্পদের আগ্রহী ব্যক্তিও বলেছিলেন।”
সূত্র – বারায়াতুল আশয়ারি মিন আকাইদুল মুখালিফিন, পৃষ্ঠা ৪১০
উপরোক্ত গ্রন্থে দেখানো হয়েছে, অসংখ্য আলেম ইবনে তাইমিয়াকে কাফের ফতোয়া দিয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত থেকে বের করে দিয়েছেন। এটা অবশ্যই তাঁদের বাড়াবাড়ি। তাই, কে কে ইবনে তাইমিয়াকে কাফের বলেছেন, তা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। প্রতিটি মানুষের ভুল হতেই পারে।
ইবনে তাইমিয়া ইসলামের জন্যে যে মহান খেদমত করেছেন, তা কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না।