আহলে কোর’আনের কিছু প্রশ্ন ও তার জবাব – ২
মোহাম্মদ Junaid ভাইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর।
১) ইমামদেরকে standard মানতে হবে কেন?
– ইমামদেরকে আমরা প্লেটো বা এরিস্টটলের মতো জ্ঞানী, স্কলার ও আলেম মনে করি, standard নয়।
২) ওনাদের status কী?
– পৃথিবীর হাজার হাজার স্কলারের মাঝে ইমামরাও অন্তর্ভুক্ত।
৩) ওনাদের কি সুসংবদ্ধ চিন্তা ছিল?
– জ্বী, উনাদের কাজ-ই ছিলো চিন্তাকে ফ্রেম দেওয়া।
৪) ওনাদের রচনাসমগ্ৰ কি সুলভ?
– দুর্ভাগ্য আমাদের। বাংলা ভাষায় উনাদের বই পুস্তক অনুবাদ হয়নি। কিন্তু, উনাদের প্রচুর বই আছে, যা আমরা জানি না।
৫) প্রামাণিকতা প্রশ্নাতীত?
– জী।
৬) বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা তো প্রবহমান নদীর মতো। পুরা যুগের কারো পায়রবিতে আটকে থাকতে হবে কেন?
– নদী যেমন তার উৎসের সাথে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না, তেমনি আমরাও আমাদের অতীতের সকল জ্ঞানের উৎসের সাথে বাঁধ নির্মাণ করতে চায় না। বরং আমাদের জ্ঞানের উৎসে যাবার রাস্তা খোলা রাখতে চাই।
৭) জ্ঞানের পরিমাপক কী?
– একজন মানুষ তার সময়ের কতগুলো সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছেন, সেটাই তার জ্ঞানের পরিমাপক।
৮) ওনারা কি কিয়ামত দিবসে আমাদের কাজের দায়দায়িত্ব গ্ৰহণ করবেন?
– অবশ্যই না। তবে, পৃথিবীকে জানার জন্যে উনারা আমাদেরকে সাহায্য করবে।
৯) আমরা কি subjective হব, না objective হব?
– সাবজেক্টিভ ও অবজেক্টিভ দুই প্রান্তিকতায় না গিয়ে সিরাতুল মুসতাকিমে থাকবো।
১০) ব্যক্তিপূজা কি কুরআন অনুমোদন করে?
– ব্যক্তিপূজা আর অন্যের সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এক নয়। কোর’আনের সূরা ফাতিহার মাঝেই বলেছে সৎ বান্দাদের পথ অনুসরণ করতে।
১১) মানুষের কোন সিদ্ধান্ত কি universal এবং eternal হতে পারে?
– অবশ্যই না। এবং এ কারণেই স্কলারদের চিন্তা ভিন্ন ভিন্ন।