মাকাসিদ বা ‘কারণ’- এর প্রয়োজনীয়তা
“কারণ” শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো কথা “কারণ” শব্দের সাহায্যে বলা হলে, কথাটি অন্যরা খুব সহজে মেনে নেয়।
ধরুন, টাকা তোলার জন্যে একটি ব্যাংকে বিশাল লাইন। আপনি যদি সবার সামনে গিয়ে বলেন যে, “ভাই একটু সাইড দেন তো, আমাকে তাড়াতাড়ি টাকাটা তুলতে হবে”। তখন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা তাঁদের সামনে আপনাকে যেতে দিবে না।
কিন্তু, আপনি যদি তাঁদেরকে বুঝিয়ে বলেন যে, “আমার টাকাটা তাড়াতাড়ি তুলতে হবে, কারণ, হাসপাতালে আমার মুমুর্ষ রোগী আছে”, তখন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই বলবে – “আচ্ছা, ঠিক আছে, যান, টাকাটা তুলে নিন”।
এখানে দেখুন,
প্রথমবার বলার সময় লোকটি “কারণ” শব্দটি না বলায় মানুষেরা তাঁকে টাকা তুলতে দেয়নি। কিন্তু, দ্বিতীয়বার বলার সময় “কারণ” শব্দটি যুক্ত করায় অনেকেই তাঁকে টাকা তোলার সুযোগ করে দিয়েছেন।
পার্থক্যটা হচ্ছে – “কারণ”
______
অনেকেই কেবল কোর’আনের আয়াত বা হাদিস উল্লেখ করেই মানুষকে তা পালন করতে বলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ ঐ আয়াতটি বা হাদিসটি আমল করার জন্যে তেমন কোনো উৎসাহ-ই পায় না।
অথচ,
কোর’আনের যে কোন আয়াত বা রাসূল (স) এর যে কোনো হাদিসের পিছনে অনেকগুলো সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণ থাকে। আমরা যদি সেসব “কারণ” সহকারে কোর’আন ও হাদিসকে সাধারণ মানুষের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি, তাহলে মানুষ সহজেই তা মেনে নিতে পারবে।