ধর্মীয় চিন্তা কীভাবে মারা যায়?

যে-কোনো জ্ঞান কিছু দিন পরে মরে যায়। সেটাকে আবার পুনর্জীবন দিতে হয়।

আমার এক স্যার বলেন, ইবনে সিনার ডাক্তারির বই দিয়ে যদি এখন কেউ চিকিৎসা করতে যায়, তাহলে ১০০ জন রোগীর মধ্যে ৯৯ জন-ই মারা যাবে। কারণ, ইবনে সিনার ডাক্তারি বিদ্যাটা এখন আর কোনো ডাক্তারের কাজে লাগে না।

কেবল ডাক্তারি জ্ঞান নয়, ধর্মীয় জ্ঞানও সময়ের ব্যবধানে মারা যায়। এ জন্যেই ইমাম গাজালিকে লিখতে হয়েছিলো – ‘ধর্মীয় জ্ঞানের পুনর্জীবন’ বা ‘ইহয়াউ উলুমুদ্দিন’। মোহাম্মাদ ইকবালকে লিখতে হয়েছিলো – ‘ইসলামে ধর্মীয় চিন্তার পুনর্গঠন’ বা ‘The Reconstruction of Religious Thought in Islam’।

এখন প্রশ্ন হলো, ধর্মীয় চিন্তা কীভাবে মারা যায়?

যখন কোনো ধর্মীয় চিন্তা সমাজের মানুষের চিন্তায় প্রভাব ফেলতে পারে না, তখন সে চিন্তাকে বলা হয় মৃত চিন্তা। আলেমরা মনে করেন, সাধারণ মানুষ সব সেকুলার হয়ে গেছে বলে কেউ তাদের কথা শুনছে না। আসলে কিন্তু তা নয়। বরং আলেমদের চিন্তা মরে গেছে বলে কেউ তাদের কথা শুনছে না। যেসব আলেমের কথা মানুষ শুনছে, শুনার জন্যে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে, সেসব আলেম আসলে ধর্মীয় চিন্তার মাঝে প্রাণ সঞ্চারণ করতে পেরেছেন বলেই মানুষ ছুটে আসছে।

যাদের মাহফিলে বেশি মানুষ আসে, তাদেরকে হিংসা না করে নিজেদের ধর্মীয় জ্ঞানকে পুনর্জীবিত করা প্রয়োজন।

19 February 12:26 pm 2020

আরো পোস্ট