|

মর্ডান মুসলিম ও পশ্চিমাপন্থী মুসলিমের মাঝে পার্থক্য কী?

মর্ডান মুসলিম ও পশ্চিমাপন্থী মুসলিমের মাঝে পার্থক্য কী?

১) মর্ডান মুসলিমরা মনে করেন, ইসলামের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু মুসলিমদের চিন্তার মধ্যে সমস্যা আছে, তাই মুসলিমদের চিন্তার সংস্কার করা প্রয়োজন। অন্যদিকে, পশ্চিমাপন্থী মুসলিমরা মনে করেন, খোদ ইসলাম ধর্মের মধ্যেই সমস্যা আছে, তাই ইসলামী চিন্তার সংস্করণ করতে হবে।

২) মর্ডান মুসলিমরা ইসলামের রেফারেন্স দিয়েই ইসলামকে আধুনিকভাবে উপস্থাপন করতে চায়। কিন্তু পশ্চিমাপন্থী মুসলিমরা পশ্চিমা রেফারেন্স দিয়ে ইসলামকে আধুনিক করতে চায়।

৩) মর্ডান মুসলিমরা কোর’আন ও বুদ্ধির সমন্বয় করতে চায়। কিন্তু পশ্চিমাপন্থী মুসলিমরা বুদ্ধিকে প্রধান মনে করে কোর’আনকে বাদ দিতে চায়।

৪) মর্ডান মুসলিমরা হাদিস-ফিকহ-তাসাউফের প্রতি গুরুত্ব না দিলেও সেগুলোকে অস্বীকার করে না, কিন্তু পশ্চিমাপন্থী মুসলিমরা হাদিস-ফিকহ-তাসাউফকে অস্বীকার করে।

৫) মর্ডান মুসলিমরা মদিনার আয়াতগুলোর চেয়ে মক্কার আয়াতগুলোকে বেশী গুরুত্ব দেয়, কিন্তু পশ্চিমাপন্থী মুসলিমরা মনে করেন, বুদ্ধি থাকলে কোর’আনের আর তেমন প্রয়োজন নেই, হোক মাক্কী বা মাদানী আয়াত।

৬) মর্ডান মুসলিমরা ইসলামী সোনালী যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞানের উদাহরণ দেন। আর, পশ্চিমাপন্থী মুসলিমরা ইসলামকে সংস্কার করার জন্যে ইউরোপের এনলাইটেনমেন্ট এবং 
খ্রিস্টান প্রটেস্টান্ট ধর্মের, কিংবা লুথারের মতো সংস্কারপন্থীদের উদাহরণ দেন।

৭) মর্ডান মুসলিমদের উদাহরণ হলো স্যার সৈয়দ আহমদ খান ও ফজলুর রহমানের মতো ব্যক্তিরা; আর পশ্চিমাপন্থী মুসলিমদের উদাহরণ চোখ মেললেই পাবেন, তাই দিচ্ছি না।

11 February 12:42am 2020

আরো পোস্ট

একটি মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস প্রকাশ করা হবে না। তারকা (*) চিহ্নিত ঘরগুলো পূরণ করা আবশ্যক