১৪০০ বছর আগে ও পরের একটি পর্যালোচনা

১৪০০ বছর আগে
______

– আপনি কে?
= আমরাহ বিনতু ‘আবদুর রহমানের বোন।

– আপনি তো একজন নারী। আপনি কি রাসূল (স)-এর যুগে জুম্মার নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়তেন?
= কেবল যেতাম না, আমি এতবার গিয়েছি যে, রাসূল (স)-এর মুখ থেকে সূরা কাহাফ শুনতে শুনতে, তা আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। রাসূল প্রত্যেক জুমায় মিম্বারে দাঁড়িয়ে এই সূরাটা পড়তেন। [সূত্র: মুসলিম – ১৮৯৭]

– আচ্ছা, আপনার নাম কি?
= আমার নাম উম্মে হিশাম বিনতু হারিসা।

– আপনিও তো একজন নারী। আপনি কি রাসূল (স)-এর যুগে জুম্মার নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়তেন?
= জ্বি, প্রায় দেড়-দুই বছর যাবৎ আমাদের ও রসূলুল্লাহ (সা)-এর রান্না ঘর একই ছিল। আমি কেবল রাসূল (সা)-এর মুখ থেকে শুনেই সূরা কাহাফ মুখস্থ করে ফেলেছি। তিনি প্রতি জুমু‘আর দিন মিম্বারে দাঁড়িয়ে জনগণের উদ্দেশে প্রদত্ত খুতবায় এ সূরাটি পড়তেন। [সূত্র: মুসলিম – ১৯০০]
_______

১৪০০ বছর পরে
_______

– আপনার নাম কি?
রাইহানা বিনতে আলী

– আপনি কি জুম্মার নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়েন?
= জ্বি না। আমাদের মসজিদে নারীদের নামাজ পড়া নিষেধ। হুজুর বলেছেন, নারীরা মসজিদে নামাজ পড়া ফিতনা। তাই নারীদেরকে তাদের ঘরেই নামাজ পড়তে হবে।

11 মার্চ, 2019, 7:41 PM

আরো পোস্ট