সূরা কাহফের শিক্ষা – সমাজের সকল স্তরের উদাহরণ
একটি সমাজে যতগুলো চরিত্র থাকে, সবগুলো-ই বর্ণনা করা হয়েছে সূরা কাহফে চারটি ঘটনার মাধ্যমে।
১) আসহাবে কাহাফের ঘটনা। এখানে নিরীহ জনগণের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। কোনো অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যদি জয় লাভ করার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে অত্যাচারী শাসকের চোখের আড়ালে গিয়ে নিজের ধর্ম পালন করাই শ্রেয়।
২) বাগানের মালিকের ঘটনা। এখানে উদাহরণ দেয়া হয়েছে ধনীদের, যারা অনেক জায়গা-জমি ও টাকা-পয়সার মালিক। একজন মানুষ যতই ধনী হোক সমস্যা নেই, যদি সে এ সম্পদ দিয়ে অহংকার না করে। ধনী মানুষের বিপদ হলো সম্পদের অহংকার। সর্বদা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করলে এবং অহংকার না করলে ধনী হওয়া কোনো সমস্যার কিছু না।
৩) মূসা (আ) ও খিজির (আ) এর ঘটনা। এখানে সমাজের আলেম, জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীদের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। আলেমদের সমস্যা হলো, নিজেই সব জানে, অন্য কেউ কিছু জানে না, এমন একটা ভাব নেয়া। আলেম ও বুদ্ধিজীবীদের বিপদ হলো জ্ঞানের অহংকার। এর থেকে মুক্তির উপায় হলো, সর্বদা এটা মনে করা যে, আমার চেয়েও বড় জ্ঞানী অনেক মানুষ আছে। জ্ঞান অর্জনের জন্যে ধৈর্য ও বিনয় খুব প্রয়োজন।
৪) যুলকারনাইন এর ঘটনা। এখানে শাসকদের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। একজন শাসকের প্রধান কাজ হলো দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কায়েম করা, বহিরাগতদের আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা। এ কাজ শাসক একা করতে পারবেন না। তিনি জনগণকে একতাবদ্ধ করে জনগণ থেকে সাহায্য নিয়ে বহিরাগত শক্তির দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়বেন। এটাই শাসকের কাজ।
এ চারটি ঘটনার মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে দেয়া হয়েছে।