নারী দিবসের লেখা – ৬

আসুন রাজনীতি শিখি : ১৯৯৩ সালে দেয়া এরদোয়ানের বক্তব্য
______________

প্রিয় ভাইয়েরা, মানুষকে ভয় প্রদান করবেন না, সুসংবাদ প্রদান করুন। আমাদের এই প্রোগ্রামে কোনো ইমাম সাহেব থাকলে কিছু মনে করবেন না।

জুমার নামাজ বা ঈদের নামাজ পড়ার জন্যে মানুষ যখন মসজিদে আসেন, তখনি ইমাম সাহেবরা শুরু করেন –“কেন মসজিদে আসলেন? গতকাল মসজিদ খালি ছিলো, আর আজকে মসজিদে জায়গা হচ্ছে না। গতকাল আপনারা কোথায় ছিলেন? আপনারা এক ঈদ থেকে আরেক ঈদ পর্যন্ত, এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত যদি মসজিদে না আসেন, তাহলে আপনাদের আসার দরকার নেই”।

আবার কিছু কিছু ইমাম সাহেব খুতবা দিতেই বসেই শুরু করেন – “এই যে বেপর্দা নারীরা! তারা তো সবাই জাহান্নামী। কোনো নারীর যদি একটা চুলও দেখা যায়, তাহলে সে ৪০ বছর জাহান্নামে থাকতে হবে। আর, আপনারা যারা নিয়মিত নামাজ পড়েন না, আপনারাও জাহান্নামে যাবেন। যারা রোজা রাখেন না, তারাও জাহান্নামে যাবেন”।

মনে রাখা প্রয়োজন, আমরা মুসলিম। আমাদের কথাগুলোও সবচেয়ে সুন্দর হওয়া উচিত। একজন ইমাম সাহেব যদি এভাবে বলতেন যে, “পর্দা করা নারীরা জান্নাতে যাবে। নামাজ-রোজা করা মানুষেরা জান্নাতে যাবে”। তাহলে কথাগুলো কতই না সুন্দর হতো!

ইমাম সাহেবরা কেন আল্লাহর জান্নাতকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেন?

মসজিদের ইমাম সাহেব কেবল ‘জাহান্নাম-জাহান্নাম’ বলার ফলে সাধারণ মানুষেরা তখন বলেন – “ঠিক আছে, আমরা মসজিদে না গিয়ে কোনো পীরের দরবারে যাবো। কারণ, পীর সাহেব তো জাহান্নামের ভয় দেখান না, বরং জান্নাতের কথা বলেন, এবং জান্নাতে যেতে সাহায্য করবেন বলে আশা দেন।”

প্রিয় ভাইয়েরা, মানুষকে ভয় প্রদান করবেন না, বরং সুসংবাদ প্রদান করুন। নিজেকে বিচারকের স্থানে রাখবেন না এবং মানুষকে শুধু শুধু বিচার করবেন না; বরং মানুষকে ক্ষমা করে দিন। আমরা বিচারক নই, আমরা সত্যের পথে আহবান কারী। কাউকে বলবেন না যে, ‘সে কাফির’, ‘সে মুশরিক’, ‘সে মুনাফিক’, এসব বলার অধিকার আমাদের নেই। এসব বলার অধিকার একমাত্র সব বিচারকের বড় বিচারক আল্লাহ তায়ালার। আমরা কেবল ভালোর দিকে মানুষকে ডাকবো, কেবল সৌন্দর্যের দিকে মানুষকে ডাকবো।

_________

[সূত্র Erdoğan’ı Reis Yapan Efsane Konuşma, 12 dakikadan, https://www.youtube.com/watch?v=CwtNQ3Szrw0]

3 মে, 2018, 10:35 PM

আরো পোস্ট