জ্ঞান ও মানুষ
জ্ঞানের ভিত্তিতে মানুষ তিন প্রকার হতে পারে।
১) এমন মানুষ, যিনি জ্ঞানকে ব্যবহার করে। যেমন, গুগোল সার্চ করে বা বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে নিয়ে কথা বলা। উদাহরণ, “চুরি করা ভালো নয়।”-এ লেখাটা কোথায় থেকে নিয়ে নিজের বক্তব্য বা লিখায় যুক্ত করা।
২) এমন মানুষ, যিনি জ্ঞানকে ধারণ করে। যেমন, ‘চুরি করা ভালো নয়’ – এ কথাকে যিনি কেবল মুখে বলেন না বা কেবল লিখেন না, বরং নিজেই এ কথাটা মেনে চলেন। অর্থাৎ, নিজে কখনো চুরি করেন না।
৩) এমন মানুষ, যিনি নিজেই জ্ঞান। যেমন, কিছু মানুষ আছে, যারা নিজেরাই অন্যের জ্ঞান সাবজেক্ট হয়ে যায়, যাদেরকে নিয়ে আলোচনা করাটাই জ্ঞানের বিষয়। উদাহরণ, এমন কিছু আল্লাহর ওলী আছেন, যাদেরকে দেখলেই একজন চোর চুরি ছেড়ে দেন। এমন স্তরে যখন কেউ পৌঁছে যায়, তখন ব্যক্তি নিজেই জ্ঞান হয়ে উঠেন।