নিম্নবিত্তের বিনোদন
“চিৎকার কর মেয়ে, দেখি কতদূর গলা যায়” –এ শ্লোগানে আজ আরেকটি কনসার্ট হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১২/১৩ জন মেয়ে, তার মাঝে ৩/৪ জন হিজাবি মেয়ে সামনে বসা ছিল। চতুঃপার্শ্বে ৪০/৫০ জন রিকশাওয়ালা তাঁদের রিক্সার উপরে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বাসের জন্যে অপেক্ষারত আরও কিছু মানুষ ছিলাম।
দুটি বিষয় লক্ষ করলাম…
এক.
“চিৎকার কর মেয়ে, দেখি কতদূর গলা যায়”—এ শ্লোগান কোনো মেয়ের শ্লোগান নয়। বরং বৈশাখের সেই লম্পট-বখাটে ছেলে যারা মেয়েদের ‘বাঁচাও, বাঁচাও…’ আর্তনাদ ও চিৎকার শুনে পাশবিক আনন্দ পায়, এটি তাদের শ্লোগান। যার ফলে, কনসার্টটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেয়েদের ‘রোকেয়া’ হলের সামনে অনুষ্ঠিত হলেও , হলে অবস্থিত ১৮০০ মেয়ের মধ্যে ১৮ জন মেয়েও এখানে অংশ নেয়নি।
দুই.
নিম্নবিত্ত মানুষদের বিনোদনের কোনো সুযোগ নেই এদেশে। সরকার বা গণমাধ্যম উচ্চ ও মধ্যবিত্তের চাহিদা মিটাতেই ব্যস্ত। ফলে রাস্তায় সাপের খেলা দেখলে বা হাত-মাইকের আওয়াজ শুনলেও শত শত নিম্নবিত্ত এসে ভিড় জমায়। নিম্নবিত্তের বিনোদনের জন্যে মাঝে মাঝে কিছু উদ্যোগ নেয়া উচিত। তা না হলে, আজও যেমন দেখলাম, রিক্সা-চাচাদের মত নিম্নবিত্তরা কেবল টিএসসি ও শাহাবাগে-ই বিনোদন দেখতে আসবেন।
June 16, 2015 at 8:26 PM