ফ্রয়েড ও পাবলিক টয়লেট

মনোবিজ্ঞানী হিসাবে ফ্রয়েড অনেক বিখ্যাত হলেও তার তত্ত্বটা আমার ঠিক মাথায় ধরে না। সম্পূর্ণ অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক মনে হয়। যদিও তার তত্ত্ব দিয়ে কেবল একটা কাজ-ই বোধয় করা যায়- আর তা হল পাবলিক টয়লেটের দেয়াল বিশ্লেষণ; হোক তা রাস্তার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

ফ্রয়েড একটা তত্ত্ব দিয়েছেন- ‘মানুষ পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই চিন্তা করতে পারে না; বলতেও পারে না, কিছু করতেও পারে না। যখন পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষের কোনো বাধা সৃষ্টি করে না, তখন মানুষ তাদের গোপন ভাবনার বাস্তবায়ন করে।’ এ তত্ত্বটি সব ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হলেও বাংলাদেশের পাবলিক টয়লেটের দেয়াল-লিখন-বিশ্লেষণে বোধয় কিছুটা প্রয়োজনীয়।

দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক হাল-হাকিকত খুব সহজে বোঝার জন্যে পাবলিক টয়লেটের দেয়াল প্রায় সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে কাজ করে। পাবলিক টয়লেটে যেভাবে দেশের মানুষের রুচির পরিচয় পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি শাসকগোষ্ঠীর কুৎসিত চেহারাও দেখা যায়। দেশের মানুষ কতটা নির্যাতনের স্বীকার, তার পরিসংখ্যান যেভাবে করা যায়; তেমনি বোঝা যায় মানুষের স্বাধীনতার অপব্যবহার। তবে সবচেয়ে ভালো চেনা যায় ফ্রয়েড ও তার চিন্তা।

আরো পোস্ট