মুসলিমরা কেন উটের পেশাব পান করে?
একজন ভাইয়া ইনবক্সে জানতে চাইলেন, “হিন্দুদের গোমূত্র পানে মুসলিমরা আপত্তি করে, কিন্তু মুসলিমদের হাদিস গ্রন্থসমূহে উটের মূত্র খেতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মুসলিমদের ব্যাখ্যা কী?”
প্রশ্নটির উত্তর অনেক বড় হবে ভেবে ঐ ভাইয়াকে আমি বলেছি, আমি ফেসবুকে এটা নিয়ে লিখবো।
বুখারী ও মুসলিম সহ প্রায় সকল হাদিস গ্রন্থে উঠের মূত্র খাওয়ার হাদিসটি রয়েছে। যদিও একেক হাদিসে একেকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু সব হাদিসেই উঠের পেশাব খাওয়ার বর্ণনাটা আছে।
হাদিসগুলো বাংলায়, আরবি বা ইংরেজি ভাষায় পড়তে চাইলে এ দুটি লিঙ্ক ঘুরে আসুন।
১) https://bit.ly/3djgtud
২) https://bit.ly/2U9CHXY
আমরা আলোচনার জন্যে এখানে একটি হাদিস উল্লেখ করছি –
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَهْطًا، مِنْ عُكْلٍ ـ أَوْ قَالَ عُرَيْنَةَ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَالَ مِنْ عُكْلٍ ـ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ، فَأَمَرَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِلِقَاحٍ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا فَيَشْرَبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا، فَشَرِبُوا حَتَّى إِذَا بَرِئُوا قَتَلُوا الرَّاعِيَ وَاسْتَاقُوا النَّعَمَ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم غُدْوَةً فَبَعَثَ الطَّلَبَ فِي إِثْرِهِمْ، فَمَا ارْتَفَعَ النَّهَارُ حَتَّى جِيءَ بِهِمْ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ، فَأُلْقُوا بِالْحَرَّةِ يَسْتَسْقُونَ فَلاَ يُسْقَوْنَ. قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ هَؤُلاَءِ قَوْمٌ سَرَقُوا، وَقَتَلُوا، وَكَفَرُوا بَعْدَ إِيمَانِهِمْ، وَحَارَبُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ.
“আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত, উকল গোত্রের লোক মদিনায় এলো, তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দুগ্ধবতী উটের কাছে যাওয়ার নির্দেশ করলেন। তাদেরকে আরো নির্দেশ করলেন যেন তারা সে সব উটের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করে। তারা তা পান করল। অবশেষে যখন তারা সুস্থ হয়ে গেল, তখন রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাকিয়ে নিয়ে চলল। ভোরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সংবাদ পৌছল। তিনি তাদের খোঁজে লোক পাঠালেন। দুপর হবার আগেই তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের সম্পর্কে তিনি নির্দেশ করলেন, তাদের হাত-পা কাটা হল। লৌহশলাকা দিয়ে তাদের চোখগুলো ফুড়ে দেয়া হল। এরপর প্রখর রৌদ্র তাপে ফেলে রাখা হল। তারা পানি পান করতে চাইল। কিন্তু পান করানো হলনা। আবু কিলাবা (রহঃ) বলেন: ঐ লোকগুলো এমন একটি দল যারা চুরি করেছিল, হত্যাও করেছিল, ঈমান আনার পর কুফরি করেছিল আর আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।”
(সহীহ বুখারী, ইফা, হাদিস নং – ৬৩৪৯)
এ হাদিসের উপর ভিত্তি করে একদল মুসলিম সকল হাদিস গ্রন্থকে অস্বীকার করেন। তাদের মতে, উটের পেশাব পান করাটা মানবীয় যুক্তি-বুদ্ধির বাইরে। রাসূল (স) কখনোই এমন আদেশ দিতে পারেন না। বুখারী ও মুসলিম সহ সব হাদিস গ্রন্থে যেহেতু এ হাদিসটি আছে, সুতরাং এসব হাদিসের গ্রন্থ মেনে চলাটা অযৌক্তিক। আল্লাহ আমাদেরকে কোর’আন দিয়েছেন, রাসূল নিজে হাদিস লেখাটা নিষেধ করেছেন, তাই কেবল কোরআন-ই ইসলামের একমাত্র উৎস। উপরোক্ত হাদিস সহ কোনো হাদিস-ই আমাদের মানার প্রয়োজন নেই। https://youtu.be/tJypa1IcQZk
আরেক দল মুসলিম বলেন, হাদিস গ্রন্থ গুলোকে সম্পূর্ণ অস্বীকার কোনো উপায় নেই। কারণ, ইসলামের হুকুম-আহকাম, নিয়ম-কানুন সব কিছুই হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি। তাই যে-হাদিসগুলো সমস্যাজনক সেগুলো বাদ দিয়ে বাকি হাদিসগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি। এ যুক্তির ভিত্তিতে তারা হাদিসকে দুটি ভাগ করেন। সহীহ হাদিস ও জয়িফ হাদিস। সহিহ হাদিসকে অবশ্যই মানতে হবে, এবং জয়িফ বা দুর্বল হাদিসগুলোকে বাদ দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, উটের পেশাব পান করার হাদিসটি তো সহীহ। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী? –এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে একদল মুসলিম বলেন, যদিও সনদ বা বর্ণনার দিক থেকে এ হাদিসগুলো সহীহ, কিন্তু মতন বা টেক্সটের দিক থেকে হাদিসগুলো সহীহ নয়। কোনো হাদিস সনদের দিক থেকে সহিহ হলেও যদি তা কোরআন ও যুক্তি-বুদ্ধির দিক থেকে অগ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে সে হাদিস বর্জনীয়। যেহেতু উটের পেশাব খাওয়ার হাদিসটা অযৌক্তিক, তাই এ হাদিস বাদে অন্য সকল যৌক্তিক হাদিস আমাদের মেনে চলতে হবে।
আরেক দল মুসলিম বলেন, বুখারী ও মুসলিমের মতো সহীহ গ্রন্থে ইরানের মুহাদ্দিসদের অনেক হাদিস আছে। উপরোক্ত হাদিসটিও ইরানের মুহাদ্দিসদের দ্বারা বর্ণিত। ঐ-সকল মুহাদ্দিসরা নিজেদের ইরানী কালচার ও সংস্কৃতিকে হাদিসের নামে চালিয়ে দিয়েছে। আসলে উটের পেশাব খাওয়া ইসলামের সংস্কৃতি নয়, এটা বরং ইরানীদের সংস্কৃতি, যা হাদিসের নামে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। https://youtu.be/TFHGcFZ0bN4
আরেক দল মুসলিম বলেন, উটের পেশাব খাওয়ার হাদিসগুলো নিয়ে গত দুইশত বছরের আগে কখনো কোনো প্রশ্ন উঠেনি। সবাই এটাকে স্বাভাবিক মনে করেছিলো। কিন্তু ইসলাম-বিদ্বেষী ওরিয়েন্টালিস্টরা মুসলিমদের ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে এ হাদিসগুলোকে সামনে আনে। এবং এ হাদিসগুলো দেখিয়ে মুসলিমদেরকে বলে, “দেখো, তোমাদের রাসূল কত বাজে জিনিস খেতে বলেছেন তোমাদেরকে”। ওরিয়েন্টালিস্টদের বিপরীতে এ পক্ষের মুসলিমরা যুক্তি দিয়ে বলেন যে, রাসূল (স) খালি খালি উটের পেশাব খেতে বলেননি, বরং দুধের সাথে মিশিয়ে খেয়ে বলেছেন। অর্থাৎ, তিনি স্বাভাবিকভাবে নয়, বরং ওষুধ হিসাবে মিশিয়ে খেতে বলেছেন। এছাড়া, “ইবনে সিনার চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ ‘আল কানুন ফিত-তিব’ ১৬ শতক পর্যন্ত মুসলিম ও পশ্চিমা বিশ্বের মেডিক্যালগুলোতে পড়ানো হতো। সে গ্রন্থে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্যে উটের পেশাবকে অন্য কিছুর সাথে মিশিয়ে ওষুধ তৈরি করার নিয়মাবলী দেয়া হয়েছে। সে নিয়ম কেবল মুসলিম বিশ্ব নয়, পশ্চিমা বিশ্বেও গত তিন-চারশ বছর আগে প্রচলিত ছিলো। এমনকি এখনো আমেরিকার নাসা সহ জার্মান, জাপান, চীন, ভারতের মতো বিভিন্ন দেশে মেডিক্যালের একাডেমিক জার্নাল ও বইয়ে উটের পেশাব নিয়ে রিসার্চ হচ্ছে; এবং তারা বলছেন যে, পেশাবকে মেডিসিন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। (https://bit.ly/2QEHf6j) সুতরাং, উটের পেশাবকে ওরিয়েন্টালিস্টরা যেভাবে অযৌক্তিক ও বর্বর আকারে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। তাই এ হাদিসটা মানতে কোনো সমস্যা নেই।
আরেক দল মুসলিম বলেন, বাঁচার জন্যে শুকরের গোস্তের মতো হারাম জিনিসও হালাল হয়। যেহেতু উকল গোত্রের কয়জন লোক মদিনায় এসে খুব অসুস্থ হয়ে যায়, তাই তৎকালীন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে রাসূল (স) তাদেরকে উটের পেশাব খেতে বলেছেন। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় উট সহ সকল পেশাব খাওয়া হারাম।
আরেক দল মুসলিমের মতে, রাসূল (স)-কে আল্লাহ তায়ালা ডাক্তার হিসাবে পৃথিবীতে পাঠাননি। রাসূল (স)-কে পাঠিয়েছেন মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যে। সুতরাং, যে-সব হাদিসে আল্লাহর বিষয়ে বা ইবাদাতের বিষয়ে কোনো খবর দেয়া হয়েছে, তা আমল করতে হবে। কিন্তু যেসব হাদিসে দুনিয়াবি বিষয়ে কোনো পরামর্শ দেয়া হয়েছে, তা মানুষের উপর আমল করা জরুরী নয়। রাসূল (স) মানুষ হিসাবে যেসব কথা বলেছেন, তার অনেককিছু সাহাবীরা আমল করেননি। এমন অনেক উদাহরণ হাদিসের গ্রন্থে রয়েছে। যেমন –
“রাফি ইবনু খাদীজ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আগমন করলেন। লোকেরা খেজুর গাছ তাবীর করত। রাবী বলেন, অর্থাৎ নর ও নারী ফুলের রেণুতে মিশ্রণ ঘটিয়ে খেজুর গাছকে গর্ভদান করত। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা কি করছ? তারা বললো আমরা এরূপ করে আসছি। তিনি বললেন, “তোমরা এমন না করলেই বোধ হয় ভাল হয়”। রাবী বললেন, সুতরাং তারা তা বর্জন করল। আর এতে খেজুর ঝরে পড়ল অথবা (রাবী বলেছেন,) তার উৎপাদন কমে গেল। রাবী বলেন, লোকেরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ ঘটনা বলল। তখন তিনি বললেন, আমি তো একজন মানুষ। দ্বীন সম্পর্কে যখন তোমাদের আমি কোন আদেশ দেই, তখন তোমরা তা পালন করবে, আর যখন কোন কথা আমি আমার মতানুসারে বলি, তখন তো আমি একজন মানুষ মাত্র”। (সহীহ মুসলিম, ইফা, হাদিস – ৫৯১৫, https://bit.ly/2vGWKn2)
এ ছাড়াও আরো অসংখ্য হাদিসে রাসূল (স) বলেছেন, তিনি মানুষ হিসাবে যে কাজ করেন, তা আমল করা উম্মতের জন্যে জরুরী নয়। এ সম্পর্কিত হাদিসগুলো এখানে দেখতে পারেন https://bit.ly/2WMZE55। যাই হোক, অনেকে বলেন, উটের পেশাব খাওয়ার হাদিসটা রাসূল (স) মানুষ হিসাবে তৎকালীন প্রচলিত চিকিৎসার ওষুধ হিসাবে বলেছেন। এটা মানা উম্মতের জন্যে প্রয়োজন নেই।
আরেক দল মুসলিমের মতে, হাদিসের গ্রন্থে কোনো হাদিস থাকলেই সেটা মুসলিমদের চর্চা করা বাধ্যতামূলক নয়। কারণ, হাদিস ও সুন্নাহ এর মাঝে পার্থক্য রয়েছে। যে হাদিসগুলো সাহাবী, তাবেঈন ও তাবেতাবেঈন দ্বারা চর্চা হয়ে এসেছে, সে হাদিসগুলো কেবল সুন্নাহ। আর যে হাদিসগুলো সাহাবীদের বা তাবীঈদের দ্বারা চর্চা হয়নি, সেগুলো সুন্নাহ নয়। যেহেতু, উকল গোত্রের লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করার কয়েকদিন পরেই আবার ইসলাম ত্যাগ করেছে, সুতরাং তাদের আমল সুন্নাহ হিসাবে বিবেচিত হবে না। এটা বরং একটা ঘটনা হিসাবেই নির্দিষ্ট।
আরেক দল মুসলিমের মতে, যারা উটের পেশাব পানের বিষয়ে হাদিসটি নিয়ে আপত্তি করে, তারা কেবল একটি হাদিস পড়েই সিদ্ধান্তে চলে আসে। আসলে বুখারি ও মুসলিম সহ সকল হাদিস গ্রন্থ থেকে উটের পেশাব পানের সবগুলো হাদিস পড়লে এ সম্পর্কে আর কোনো আপত্তি থাকে না। যেমন, বুখারী শরীফের অন্য একটা হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে –
“আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত যে, উকল নামক গোত্রে আট ব্যক্তির একটি দল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলো। মদিনার আবহাওয়া তারা উপযোগী মনে করেনি। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য দুগ্ধবতী উটনীর ব্যবস্থা করুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তোমরা বরং সাদকার উটের পালের কাছে যাও। তখন তারা সেখানে গিয়ে সেগুলোর পেশাব ও দুধ পান করে সুস্থ এবং মোটাতাজা হয়ে গেল। তারপর তারা উটের রাখালকে হত্যা করে উটের পেল হাকিয়ে নিয়ে গেল এবং মুসলমান হওয়ার পর তারা মুরতাদ হয়ে গেল”। (বুখারি, ইফা, হাদিস – ২৮০৯; https://bit.ly/3djgtud)
এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, ঐ লোকেরা নিজেরাই এসে রাসূল (স) উটের দুধ ও পেশাব পানের জন্যে দুগ্ধবতী উট চায়। রাসূল (স) মুসলিমদের সদকার উঠ থেকে দুধ ও পেশাব পানের অনুমতি দেয়। এটা রাসূল নিজ থেকে নয়, বরং তাদের চাহিদার আলোকেই রাসূল তাদেরকে অনুমতি দেন।
আরেক দল মুসলিমের মতে, মদ খাওয়া যেমন ইসলামের প্রথম যুগে হালাল হলেও পরের যুগে তা নিষেধ করা হয়েছে; তেমনি উটের পেশাব খাওয়াও ইসলামের প্রথম যুগে হালাল ছিলো, কিন্তু পরে তা হারাম করা হয়েছে। ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম শাফেয়ীর মতে, সব ধরণের পেশাব খাওয়া হারাম, হোক তা উটের বা মানুষের। তারা এর প্রমাণ স্বরূপ অনেক হাদিস বর্ণনা করেন। যেমন –
১) আবু হুরায়রাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিত «اسْتَنْزِهُوا مِنَ الْبَوْلِ فَإِنَّ عَامَّةَ عَذَابِ الْقَبْرِ مِنْهُ»
অর্থাৎ, “তোমরা পেশাবের ছিটা হতে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখো। কেননা, সাধারণত: কবরের ‘আযাব এর কারণেই হয়ে থাকে।” (বুলুগুল মারাম, হাদিস – ১০২, https://bit.ly/2wlL1uI)
২) বুখারী ও মুসলিমে ইবনু ‘আব্বাস থেকে বর্ণিত, مَرَّ النَّبِيُّ ﷺ بِقَبْرَيْنِ فَقَالَ إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لَا يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْل
অর্থাৎ, “নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার দু’টি কবরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি বললেন, এদের আযাব দেওয়া হচ্ছে, কোন কঠিন পাপের জন্য তাদের আযাব হচ্ছে না। তাদের একজন পেশাব থেকে সতর্ক থাকত না। আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত।” (সহীহ বুখারী, ইফা, ২১৮, https://bit.ly/2xeVXKH)
৩) আবু ইয়া‘লা থেকে বর্ণিত «إِنَّ اللّٰهَ لَمْ يَجْعَلْ شِفَاءَ أُمَّتِي فِيمَا حُرِّمَ عَلَيْهَا»
অর্থাৎ, “যা হারাম, তাতে কোনো প্রতিষেধক আল্লাহ রাখেননি।” https://bit.ly/3dmwdMJ
উপরোক্ত হাদিসগুলো পেশ করে ইমাম আবু হানিফা ও শাফেয়ী বলেছেন যে, উটের পেশাব মানুষের জন্যে খাওয়া হারাম, যদিও তা ইসলামের প্রথম যুগে হালাল ছিলো।