“রানী বিলকিস” কোরআনে উল্লেখিত সফল মুসলিম নারী নেত্রী

কোরআনে একজন সফল নারী নেত্রীর কথা বলা হয়েছে, যিনি ছিলেন সাবা বংশের রানী বিলকীস।

অনেকে বলেন, বিলকীস কীভাবে সফল নেত্রী হয়? সে তো সুলায়মান (আ)-এর কাছেই আত্মসমর্পণ করে নিজের রাজত্ব দিয়ে দিয়েছেন।

আসলে কোরআন দ্রুত পড়ে যাবার কারণে এ ভুল অর্থটি আমরা গ্রহণ করি। সূরা নামলের ৩০-৩১ নং আয়াতে বলা হয়েছে –

إِنَّهُ مِنْ سُلَيْمَانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ – أَلَّا تَعْلُوا عَلَيَّ وَأْتُونِي مُسْلِمِينَ

“সুলায়মানের নিকট থেকে পত্র, পত্রটি হলো – “পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু, আমার মোকাবেলায় শক্তি প্রদর্শন করো না, বশ্যতা স্বীকার করে আমার নিকট উপস্থিত হও।”

এ আয়াত দুটি থেকে অনেকে মনে করেন, এখানে সোলায়মানের কাছে বশ্যতা স্বীকার করার কথা বলা হয়েছে। আসলে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে পরে যে কথা বলেছেন, সেটাও আল্লাহর পক্ষ থেকে সোলায়মান বিলকীসকে বলেছেন। অর্থাৎ, এখানে সোলায়মানের বশ্যতা স্বীকার করতে নয়, বরং আল্লাহর বশ্যতা স্বীকার করতে বলা হয়েছে। এর প্রমাণ আমরা পাই পরের ৪৪ নং আয়াতে।

قَالَتْ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي وَأَسْلَمْتُ مَعَ سُلَيْمَانَ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

রানী বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, আমি তো নিজের প্রতি অত্যাচার করেছি। সোলায়মান সহ আমি জগতের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট বশ্যতা স্বীকার করলাম।”

দেখুন, এ আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, রানী বিলকীস সোলায়মানকে রাজা মেনে তার কাছে বশ্যতা স্বীকার করেনি। বরং সোলায়মানকে নিজের মতোই মনে করতেন। এবং এ জন্যে বলেছেন যে, আমি ও সোলায়মান মিলে আল্লাহর কাছে বশ্যতা স্বীকার করলাম।

অর্থাৎ, বিলকীস আগেও যেমন রানী ছিলেন, এ ঘটনার পরেও রানী ছিলেন; কিন্তু এ ঘটনার কারণে তিনি কাফের থেকে মুসলিম হয়েছিলেন। তাই রানী বিলকীস হলেন একজন সফল মুসলিম নারী নেত্রী, যার উদাহরণ কোর’আনে দেয়া হয়েছে।

25 March 2:11pm 2020

আরো পোস্ট