বাঙালির জন্ম নির্ণয়ে ধর্মের অবদান
একজন বাঙালি যতই সেক্যুলার বা নাস্তিক হোক না কেন, ধর্মের সাহায্য ব্যতীত তিনি তার অস্তিত্বের জানান দিতে পারবেন না।
যেমন, কোনো নাস্তিককে যদি আপনি আপনি জিজ্ঞাস করেন, “ভাই, আপনার জন্ম কত সালে?” তিনি হয়তো বলবেন, “১৯৭১ সালে”।
“আমি ১৯৭১ সালে জন্ম গ্রহণ করেছি” এর মানে হলো “আমি ঈসা (আ) এর জন্মের ১৯৭১ বছর পর জন্ম গ্রহণ করেছি”।
“১৯৭১” বলার সাথে সাথেই একজন সেক্যুলার বা নাস্তিককে বাধ্য হয়েই আমাদের সম্মানিত নবী ঈসা (আ)-এর অস্তিত্ব ও অবদানকে স্বীকার করে নিতে হয়।
এরপর আসুন,
কোনো নাস্তিক যদি ১৯৭১ সালকে উল্লেখ না করে বলে যে, “আমি বাংলা ১৩৭৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেছি”। তাহলে তার মানে হলো, “আমি মুহাম্মদ (স)-এর হিজরতের ১৩৭৮ সাল পরে জন্ম গ্রহণ করেছি”। কারণ, সম্রাট আকবর হিজরি সাল অনুযায়ী-ই বাংলা সাল প্রবর্তন করেছিলেন।
সুতরাং, এ ক্ষেত্রেও, যে কোনো নাস্তিক তার জন্ম ও অস্তিত্বের জানান দেয়ার জন্যে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (স)-এর অবদানকে স্বীকার করে নিতে হবে।
___________
কোনো সেক্যুলার বা নাস্তিক যদি ধর্ম থেকে দূরে সরে যায়, তাহলে তার জন্মের কোনো ঠিক থাকে না।