ঋতুমতী নারীদের ব্যাপারে ইসলাম
ইবনে তাইমিয়া ঋতুমতী নারীদের বিষয়ে বলেন –
“একটি হাদিস রয়েছে, যা ইবনে উমার থেকে নাফি, তার থেকে মুসা ইবনে উকবাহ, তার থেকে ইসমাইল ইবনে আয়াশ বর্ণনা করেন যে, “ঋতুমতী নারী বা গোসল ফরজ হওয়া পুরুষ কোরআন থেকে কোনো কিছু পাঠ করা উচিত নয়”। আবু দাউদ ও অন্যান্যদের গ্রন্থে উল্লেখিত এ হাদিসটি যে দুর্বল, তাতে অসংখ্য মুহাদ্দিস একমত পোষণ করেছেন। ইবনে আয়াশ হিজাজ (মক্কা-মদিনা) থেকে যে হাদিসগুলো বর্ণনা করেছেন, সেগুলো ‘লেভানথিন’ থেকে বর্ণিত হাদিসগুলোর মতো নয়; হিজাজ থেকে বর্ণিত হাদিসগুলো দুর্বল। তা ছাড়া, কোনো বিশ্বস্ত স্কলার নাফি থেকে এ হাদিসটি বর্ণনা করেননি।
এটা সবাই জানে যে, রাসূলের (স) সময়ে নারীদের ঋতুস্রাব হয়েছিলো, কিন্তু রাসূল (স) কাউকে কোর’আন পড়তে নিষেধ করেননি; যেভাবে তিনি ঋতুমতী নারীদেরকে দোয়া পড়তে নিষেধ করেননি। বরং রাসূল (স) ঋতুমতী নারীদেরকেও ঈদগাহে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন, এবং অন্য মুসলিমদের সাথে তাকবীর পড়তে বলেছেন।
রাসূল (স) ঋতুমতী নারীদের আরো নির্দেশ দিয়েছেন যে, তারা যাতে হজ্জের সব কাজে অংশ নেয়, কেবল কাবা শরীফ তাওয়াফ ব্যতীত। নারীরা স্বাভাবিকভাবেই মুজদালিফা, মিনা ও অন্যান্য স্থানের সকল কাজে অংশ নিতে পারবে।”
মজার বিষয় হলো, বর্তমানে ইবনে তাইমিয়ার সালাফি অনুসারীরা নারীদের এ ইস্যুতে ইবনে তাইমিয়ার মতামতকে গ্রহণ করেন না। তাদের এমন বাধার কারণে নারীরা প্রচুর কষ্ট করতে হয়; বিশেষকরে নারীরা যখন মক্কা ও মদিনার পবিত্র মসজিদ দেখতে যায়।
[জাসের আওদা, রিক্লেইমিং দা মস্ক, পৃ – ৯২]