ঐচ্ছিক ও আবশ্যকীয় কাজের মধ্যে পার্থক্য
প্রতিদিন আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হয়। এর মধ্যে কিছু কাজ আবশ্যিক এবং কিছু কাজ ঐচ্ছিক; কিছু কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কিছু কাজ না করলেও হয়। যারা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও গুরুত্বহীন কাজের মধ্যে পার্থক্য করেন না, তারা প্রায়ই ঐচ্ছিক কাজ করতে করতে আবশ্যিক কাজ করার সময় পান না।
এ কারণে উমার (রা) বলেছেন, “তোমাদের পূর্বের মানুষেরা আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক কাজের পার্থক্য না করার কারণে ধ্বংস হয়েছে।” উমার (রা) এর মুখে এ কথা এ কথা শুনে রাসূল (স) বলেছিলেন, “হে উমার! আল্লাহ তোমার জ্ঞান-বুদ্ধিকে পরিপূর্ণ করেছেন।” [حجة الله البالغة 1/ 29]
ফেইসবুকে আমরা যারা লেখালেখি করি, তারা আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক কাজের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না। ফলে, আমরা সমসাময়িক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে পড়ে থাকি, এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিবর্তনের জন্যে লেখালেখি করতে চাই না। অথচ, দীর্ঘ মেয়াদী পরিবর্তনের জন্যে লেখালেখি করাটা এখন আবশ্যিক।
আমাদের প্রতিটি কাজ করার আগে প্রশ্ন করা প্রয়োজন, এটা কি আবশ্যিক কাজ নাকি ঐচ্ছিক কাজ? যদি কাজটি ঐচ্ছিক হয়, তাহলে অন্য একটি আবশ্যিক কাজ খুঁজে নেয়া প্রয়োজন।