হুজুরদের পছন্দ ওয়াজ, লেখালেখি নয় কেন?
এর অনেক কারণ রয়েছে-
১) দুই/তিন বছর সময় নিয়ে একটা বই লিখে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, ২ ঘন্টার একটা ওয়াজে তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায়।
২) ওয়াজ করার সময়ে বক্তাকে মনে করতে হয় যে, আমি ছাড়া আর সবাই অজ্ঞ। আর, লেখালেখির সময়ে লেখককে মনে করতে হয় যে, আমি ছাড়া সবাই সব জানে। আমাদের হুজুররা নিজেকে সবজান্তা হিসাবে উপস্থাপন করতে চায়, তাই তারা ওয়াজকে বেশি পছন্দ করেন।
৩) শুনার যোগ্যতা সব মানুষের আছে, কিন্তু পড়ার যোগ্যতা সব মানুষের নেই। তাই ওয়াজ করে যত সহজে শ্রোতা খুঁজে পাওয়া যায়, তত সহজে পাঠক পাওয়া যায় না। তাই অনেকে ওয়াজকেই বেশি পছন্দ করেন।
৪) ওয়াজে যতবেশি আবেগ দেয়া যায়, লেখালেখিতে তত আবেগ দেয়া যায় না। অন্যদিকে, লেখালেখিতে আবেগের চেয়ে যুক্তিকে বেশি প্রয়োগ করতে হয়। যেহেতু আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে দর্শন বা যুক্তি বিদ্যাকে গুরুত্ব দেয়া হয় না, তাই আবেগের ওয়াজ-ই অনেকের প্রধান হাতিয়ার।
৫) অনেকক্ষণ ওয়াজ শুনে অল্প কিছু শেখা যায়, কিন্তু অল্প লেখা পড়ে অনেক কিছু শেখা যায়। যারা সময়ের গুরুত্ব দেন, তারা ওয়াজের চেয়ে লেখালেখিকে বেশি পছন্দ করেন।
৬) সেক্যুলার সমাজে বক্তার চেয়ে লেখক বেশি। কিন্তু আমাদের মুসলিম সমাজে লেখকের চেয়ে বক্তা বেশি। এ কারণে আমাদের সমাজে সেক্যুলারদের সংখ্যা অল্প হলেও প্রভাব তাদের বেশি।